ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে পালাবদলের পর বেশ কয়েকবার ব্রিগেডের সমাবেশ ডেকেছে বামেরা। প্রত্যেক বারই অসংখ্য মানুষের সমাগমও হয়েছিল। এবার ব্রিগ্রেড সমাবেশের ডাক দিল CPIM এর যুব সংগঠন। এই সমাবেশ সফল করতে পুরো দমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। পথ-সভা, জনসভা, মিছিল, দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও লাগাতার প্রচার করা হচ্ছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। প্রচারের কাজে হাত লাগিয়েছে নেতৃত্বও।
কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ দিতে সব স্তরের নেতৃত্ব প্রচারে অংশ গ্রহণ করছেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে আগামী নভেম্বর -ডিসেম্বর দু’মাস ধরে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আগামী বছর ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে ভোটের অঙ্কে নতুন করে খুব একটা আশা দেখাতে পারেনি সিপিআইএম। তবে রাজপথে বেশকিছু আন্দোলনে চোখে পড়েছে যুব সংগঠনের সক্রিয়তা। করোনাকালে রেড ভলেন্টিয়ারদের কাজেও সংগঠন অংশ গ্রহণ করেছিল।
আরও পড়ুন: Samudrayaan Mission: শীঘ্রই বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাবে ভারতের প্রথম মনুষ্যবাহী সাবমারসিবল
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করেন এই কর্মসূচি সফল হলে দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মনোবল অনেকটাই বাড়বে। গত লোকসভা ও বিধানসভা আসনে কোনও আসন না পেলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছে দলের কর্মী সমর্থকেরা। বুথেও নিচু তলার কর্মীদের ‘পারফরম্যান্সে’ মোটের উপর খুশি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। এ বার লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে ফিরতে দলের যুব কর্মীদের হাতেই ব্যাটন তুলে দিতে চায় সিপিএম।
আরও পড়ুন: শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে যে অর্থ লাগে, তা অন্যত্র চলে যাচ্ছে, মীনাক্ষী
যুব সংগঠনও ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে দিয়ে সংগঠনের শক্তি দেখাতে চায়। এর আগে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন বেশ কয়েকবার যুবদের ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছে। ১৯৮৭ সালের ২৩ আগস্ট ডিওয়াইএফআই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ করে। এটাই ছিল প্রথম কোনও যুব সংগঠনের ব্রিগেড। বক্তা ছিলেন জ্যোতি বসু, বিমান বসু, হান্নান মোল্লা ও রবীন দেব। এরপর ১৯৯২ সালের ৯ জুন এবং ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি ডিওয়াইএফআই‘র ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকারের আমলে এই প্রথম যুবদের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ হতে চলেছে।