Table of Contents
শীতকাল আসছে। এই সময়ে, মানুষের খাওয়ার ধরণ পরিবর্তিত হয়, যার ফলে কিছু মানুষের মধ্যে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে শরীরের বিপাকীয় হার কমে যায়। এই সময়ে মানুষ কম ব্যায়ামও করে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়। শীতকালে, ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা এবং শরীরের প্রতিক্রিয়া পরিবর্তিত হয়, যার ফলে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। তাই, কয়েকটি বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
দিল্লির একজন সিনিয়র চিকিৎসক ডঃ কমলজিৎ সিং কাইন্থ ব্যাখ্যা করেছেন যে শীতকালে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের এই সময়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এই সময়ে, কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল এবং সবুজ শাকসবজি খান। অতিরিক্ত মিষ্টি বা ভাজা খাবার সীমিত করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা ব্যায়াম করুন। এমনকি শীতকালেও, জলশূন্যতা এড়ান। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত তাদের চিনির মাত্রা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং অবহেলা এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন : শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি কেন হয়? এর লক্ষণগুলি কি কি?
এই লক্ষণগুলিতে মনোযোগ দিন
ডাঃ সিং বলেন যে যদি কোনও ব্যক্তি ঘন ঘন প্রস্রাব, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, অথবা হঠাৎ ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধির মতো লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে এগুলি উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, আপনার প্রথমে একটি রেন্ডাম রক্তে শর্করার পরীক্ষা করা উচিত। যদি বেড়ে যায়, তাহলে আপনার HbA1c পরীক্ষা করান। এটি গত কয়েক মাস ধরে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা প্রকাশ করবে। আপনার ডাক্তার সেই অনুযায়ী আপনার চিকিৎসা করবেন। এই সময়ে, আপনার খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে কোনও অসাবধানতা এড়াতে ভুলবেন না। চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলেও ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। যদি বাইরে যাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে বাড়িতে ব্যায়াম করুন।
এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন:
- যদি আপনার ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাহলে নিয়মিত আপনার ওষুধ খান।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমান।
- মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন।
- ব্যায়ামের পাশাপাশি যোগব্যায়াম এবং ধ্যান অনুশীলন করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা, এটি অনুসরণ করার আগে একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
