Table of Contents
শীতকাল আসার সাথে সাথে শরীরের আরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ঠাণ্ডা ঋতুতে মানুষের স্বাস্থ্যের রুটিন প্রায়শই পরিবর্তিত হয়, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে একটি হল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ঠাণ্ডা আবহাওয়া খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন রুটিন এবং শরীরের কার্যকারিতায় পরিবর্তন আনে, যা শরীরের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। ফলস্বরূপ, শীতকালে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। আসুন প্রথমে শীতকালে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণগুলি জানি।
শীতকালে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে শরীর বেশ কয়েকটি সংকেত দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, বুকে ভারী বোধ, শরীরে শক্ত হয়ে যাওয়া বা অলসতা বৃদ্ধি এবং সামান্য শ্বাসকষ্ট। অনেকেই ব্যায়াম বা এমনকি সামান্য পরিশ্রমের পরে দ্রুত ক্লান্ত বোধ করেন। কিছু ক্ষেত্রে, তারা পায়ে ব্যথা, ঘাড় বা কাঁধে শক্ত হয়ে যাওয়া এবং মাথায় ভারী ভাব অনুভব করতে পারে। এই লক্ষণগুলি ইঙ্গিত দেয় যে শরীরে চর্বি এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে, যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন শীতকালে এই ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
শীতকালে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি কেন বৃদ্ধি পায়?
রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডাঃ অজিত জৈন ব্যাখ্যা করেন যে শীতকালে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধি পায়। শরীর ঠাণ্ডায় শক্তি সঞ্চয় করার চেষ্টা করে, যা বিপাককে ধীর করে দেয় এবং চর্বি পোড়ানো কমায়। তদুপরি, ঠান্ডার কারণে, মানুষ কম নড়াচড়া করে এবং কম ব্যায়াম করে, যার ফলে শরীরে চর্বি জমা হয়।
শীতকালে, মানুষ ভাজা, মিষ্টি এবং ভারী খাবারের মতো উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেশি খায়, যা কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। উপরন্তু, ঠাণ্ডা আবহাওয়া হরমোনের পরিবর্তন ঘটায় যা লিভারে কোলেস্টেরলের উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে পারে। সূর্যালোকের অভাব ভিটামিন ডি গ্রহন হ্রাস করে, যা কোলেস্টেরলের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন : ছেলেদেরও কি কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত? কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে জানুন
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন
ডঃ অজিত জৈন ব্যাখ্যা করেন যে শীতকালে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হালকা, পুষ্টিকর এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাদ্যতালিকায় ওটস, পোরিজ এবং মাল্টিগ্রেইন সিরিয়াল অন্তর্ভুক্ত করুন, কারণ এগুলি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বাদাম এবং আখরোটের মতো বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে এবং হৃদরোগের উন্নতি করে।
তিসির বীজ, চিয়া বীজ এবং কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে Omega-3 থাকে, যা হৃদরোগের জন্য উপকারী। সবুজ শাকসবজি এবং ফল শরীরকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। তেলের জন্য জলপাই বা সরিষার তেল একটি ভালো পছন্দ হতে পারে।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন বা হালকা ভাবে ব্যায়াম করুন।
- আপনার বিপাক সক্রিয় রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
- ভাজা খাবার এবং মিষ্টি কম খান।
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের দিকে মনোযোগ দিন।
- নিয়মিত আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করুন।
