ওয়েব ডেস্ক : বাবুল সুপ্রিও তৃনমূলের যাওর পরই আবার ফের বেসুরো বাজতে শুরু করেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদানকে কেন্দ্র করে কার্যত গেরুয়া শিবিরকেই প্রকারান্তরে দায়ী করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। এর আগে ‘মুকুল-ঘনিষ্ঠ’ কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
রবিবার, বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “বাবুল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত। তবে একজন লোক তো এমনি এমনি দল ছাড়েন না। দলে যথাযথ সম্মান না পেলে দলত্যাগ তো করবেনই। বাবুলও তাই করেছেন। তিনি যোগ্য সম্মান পাননি। দলে বারবার অসম্মানিত হয়েছেন। তাই দল ছেড়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি দলের কাছে আমার মতামত জানিয়েছি। দল ঠিক করবে যে জেলা সংগঠনে নজর দেবে না আমার কথায় অধিক গুরুত্ব দেবে। আমি এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। দলের উচ্চ নেতৃত্বের উপর তা নির্ভর করে। দলে কাজ করতে কেবল আমার নয়, অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। তাই সিদ্ধান্তটা আপাতত দলের উপর ছেড়েছি। সেই ভিত্তিতেই আমি চূড়ান্ত পদক্ষেপ করব।”
ফের ধাক্কা পদ্ম শিবিরে! একগাল হাসি নিয়ে ঘরে ফিরলেন সুনীল
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধের সুর স্পষ্ট করেছেন বিজেপি বিধায়ক। রায়গঞ্জে জেলা নেতৃত্বের কোনও কর্মসূচিতে না থাকার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। পরে বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ছবি ঢেকে দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মন্ত্রিত্ব খোয়ানোয় সাংসদ ‘মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন’ বলেও কটাক্ষ করেন কৃষ্ণ। পাল্টা দেবশ্রী বলেছিলেন, “ওঁর মাথা পুরো খারাপ হয়ে গিয়েছে।” তবে রায়গঞ্জের বিধায়কের এ হেন মন্তব্যে ফের বিজেপিতে ভাঙনের আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও এই ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এক বোতল রক্ত ৩৫০০ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ মুর্শিদাবাদের নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে
ঠিক কবে তিনি তৃণমূলে যাবেন সেটাই এখন জানার চেষ্টা করছেন বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপিতে ভালো মানুষরা কেউ থাকতে পারবেন না। তিনি তৃণমূলে এলে স্বাগত জানাব। যদিও এই ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।