আপনি কি জানেন যে আঙুল ফাটানর সময় যে ‘পপ’ শব্দ হয় তার রহস্য অনেকেই জানেন না? অনেকেই ছোটবেলা থেকেই অভ্যাসগতভাবে আঙুল ফাটিয়ে আসছেন। তবে, এই আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক ক্রিয়াটি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। আঙুল বেশি ফাটানর ফলে কি হাড়ের ক্ষয় বা আর্থ্রাইটিস হয়? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞান কি বলে।
আসলে, আঙুল ফাটানোর সময় যে ‘পপ’ বা ‘ক্র্যাক’ শব্দ হয় তা হাড় ঘষার কারণে হয় না। আঙুলের জয়েন্টগুলিতে সাইনোভিয়াল তরল থাকে, যা এক ধরণের তরল যা হাড়ের নড়াচড়া সহজ করে। আঙুলের উপর চাপ প্রয়োগ করলে, এই তরলের ক্ষুদ্র বুদবুদ ফেটে যায় এবং এই শব্দই আমরা শুনতে পাই।
গবেষণার ফলাফল অনুসারে, নিয়মিত আঙুল ফাটানো সরাসরি আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায় না। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জয়েন্টে অস্বস্তি, ফোলাভাব বা আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন : PCOS বনাম PCOD, এদের মধ্যে পার্থক্য কি, বিশেষজ্ঞদের থেকে বিস্তারিত জানুন
যদি আঙুল নাড়ানোর সময় ব্যথা, ফোলাভাব বা শক্ত হয়ে যায়, অথবা হঠাৎ করে আঙুল আটকে যায়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, আঙুল নাড়ানো সরাসরি ক্ষতি করে না, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জয়েন্টের উপর চাপ পড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে আঙুলের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। তাই, এটিকে অভ্যাসে পরিণত করবেন না। এছাড়াও, হাত এবং আঙুলের ক্লান্তি কমাতে হালকা আঙুলের ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং খুবই উপকারী।