Table of Contents
কান চুলকানি: কানের চুলকানি একটি সাধারণ সমস্যা, যা আমরা প্রায়শই হালকাভাবে নিয়ে থাকি। কিন্তু, কখনও কখনও এই চুলকানি একটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। অতএব, যদি আপনার কানে ঘন ঘন চুলকানি হয় তবে এটি উপেক্ষা করবেন না এবং অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
কান চুলকানির সাধারণ কারণ:
1. সর্দি এবং কাশি: ঠান্ডার সময় কানে শ্লেষ্মা জমতে পারে, যা চুলকানির কারণ হতে পারে।
2. অ্যালার্জি: ধুলো, পরাগ, পশুর লোমের অ্যালার্জির কারণেও কানে চুলকানি হতে পারে।
3. কানে জল প্রবেশ করা: সাঁতার কাটার পর কানে জল থেকে গেলেও চুলকানি হতে পারে।
4. কানে মোম জমা হওয়া: কানে মোম জমে যাওয়াও চুলকানির একটি সাধারণ কারণ।
5. কানের সংক্রমণ: কানে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাল বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণের কারণেও চুলকানি, ব্যথা এবং ফোলা হতে পারে।
কখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন:
- কানে খুব তীব্র চুলকানি হলে।
- কানে ব্যথা, ফোলা বা লালভাব থাকলে।
- কান থেকে জল বা পুঁজ বের হলে।
- শ্রবণশক্তি কমে গেলে।
- জ্বর থাকলে।
কান চুলকানি প্রতিরোধ:
- কানে জল প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
- কানের মোম পরিষ্কার করতে কটন বাড ব্যবহার করবেন না।
- অ্যালার্জির কারণে চুলকানি এড়াতে, অ্যালার্জির ট্রিগার থেকে দূরে থাকুন।
- আপনার হাত পরিষ্কার রাখুন।
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পর কানের চুলকানির জন্য ওষুধ ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন, কানের চুলকানি একটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তাই এটাকে হালকাভাবে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময়মত চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি গুরুতর সমস্যা এড়াতে পারেন।