Table of Contents
কখনও কখনও, প্রস্রাবে হালকা ফেনা স্বাভাবিক। এই অবস্থা ডিহাইড্রেশনের কারণেও হতে পারে, কারণ ডিহাইড্রেশনের ফলে প্রস্রাব আরও ঘনীভূত এবং ফেনাযুক্ত হতে পারে। তবে, যদি প্রতিবার ফেনাযুক্ত প্রস্রাব দেখা যায় বা বেশ কয়েক দিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। ক্রমাগত ফেনাযুক্ত প্রস্রাব একটি অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
যদি ফেনাযুক্ত প্রস্রাবের সাথে অন্যান্য লক্ষণ থাকে, তাহলে এটি একটি গুরুতর অবস্থা হতে পারে। ঘন ঘন প্রস্রাব, গাঢ় বা হলুদ প্রস্রাব এবং শরীর বা মুখ ফুলে যাওয়া কিডনি ব্যর্থতার লক্ষণ। কিছু লোক ক্লান্তি, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব বা ক্ষুধা হ্রাসও অনুভব করতে পারে। অতএব, এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করলে কিডনি ব্যর্থতার মতো গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
ফেনাযুক্ত প্রস্রাব কোন রোগের লক্ষণ?
ম্যাক্স হাসপাতালের ডাঃ রোহিত কাপুর ব্যাখ্যা করেন যে, ক্রমাগত ফেনাযুক্ত প্রস্রাব দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অবস্থার লক্ষণ হতে পারে। যখন কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়, তখন এটি আর রক্ত থেকে প্রোটিন ফিল্টার করতে পারে না, যা প্রস্রাবে নির্গত হয়। এর ফলেই ফেনাযুক্ত প্রস্রাব হয়। মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই), লিভারের রোগ এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারও এই অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন : আর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? কীভাবে এটি প্রতিরোধ করবেন? জানুন
কিছু ক্ষেত্রে, প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের অতিরিক্ত ব্যবহারও ফেনাযুক্ত প্রস্রাবের কারণ হতে পারে। যদি এই সমস্যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে, তাহলে অন্তর্নিহিত অবস্থা নির্ণয় করতে এবং সময়মত চিকিৎসা শুরু করার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষা, রক্তে শর্করার পরীক্ষা এবং কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
এটি কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
- হাইড্রেটেড থাকার জন্য সারা দিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন।
- পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করুন, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
- নিয়মিত প্রস্রাব এবং রক্ত পরীক্ষা করুন।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং লবণ গ্রহণ সীমিত করুন।
- কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা, এটি অনুসরণ করার আগে একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
