Table of Contents
অনেক মানুষ মাঝে মাঝে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। সাধারণত, আমাদের শরীর নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার জন্য তৈরি, কিন্তু কখনও কখনও মানুষ নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। একে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া বলা হয়। এটি তখন ঘটে যখন নাক বন্ধ থাকে, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যালার্জি বা সাইনাসের কারণে শ্বাসনালী বন্ধ থাকে। কিছু মানুষ শৈশব থেকেই এই অভ্যাসটি তৈরি করে। যখন নাক পর্যাপ্ত বাতাস পেতে পারে না, তখন শরীর দ্রুত বাতাস সরবরাহের জন্য জরুরি বিকল্প হিসেবে মুখ ব্যবহার করে। যদি এই অভ্যাস বারবার ঘটে বা চলতে থাকে, তবে এটি স্বাভাবিক নয়। আসুন এটি সম্পর্কে আরও জেনে নিই।
মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া, যদি এটি মাঝে মাঝে ঘটে, তবে এটিকে একটি বড় ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না, কারণ এটি শরীরের তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণ করে। তবে, যদি কেউ সারাদিন বা ঘুমের সময়ও মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে থাকে, তাহলে তা শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এর লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে দেখা দিতে পারে, যেমন ঘন ঘন গলা শুষ্ক হওয়া, ক্লান্তি, দুর্গন্ধ, ঘুমের ধরণে ব্যাঘাত, শিশুদের মুখের বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ভারী বোধ বা মাথাব্যথা। অনেকেই বুঝতেও পারেন না যে তারা রাতে মুখ দিয়ে শ্বাস নিচ্ছেন। যদি এই সমস্যাটি প্রতিদিন চলতে থাকে, তাহলে এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়।
মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া কি ফুসফুসের উপর প্রভাব ফেলে?
দিল্লির রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ অজিত কুমার ব্যাখ্যা করেন যে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া ফুসফুসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। নাক একটি প্রাকৃতিক ফিল্টার হিসেবে কাজ করে। নাক বাতাস ফিল্টার করে, উষ্ণ করে এবং ফুসফুসে পৌঁছানোর আগে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা প্রদান করে। তবে, যখন কেউ মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়, তখন বাতাস ফিল্টার, উষ্ণ বা আর্দ্র না হয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন : তেল মাখলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়… চুলের ক্ষেত্রে ৫টি ভুল ধারণা জানুন
ধুলো, কণা এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু সরাসরি এই বাতাসে শ্বাস নেওয়া হয়। এটি শ্বাসনালীতে জ্বালা বৃদ্ধি করে, যার ফলে ক্রমাগত কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং সময়ের সাথে সাথে ঘন ঘন সংক্রমণ দেখা দেয়। যাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া আরও ক্ষতিকারক হতে পারে। অতএব, কেবল এটি ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়।
কীভাবে এটি প্রতিরোধ করবেন
- নাক বন্ধ থাকলে উষ্ণ জলীয় বাষ্প শ্বাস নিন।
- ঘুমানোর সময় আপনার বালিশটি উঁচু করে রাখুন।
- যদি আপনার অ্যালার্জি বা সাইনাসের সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- শুষ্ক গলা প্রতিরোধ করতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ, রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার বিকল্প নয়।
