ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের নিরিখে বিচার করলে কলকাতার একটি ওয়ার্ডও এগিয়ে নেই বামেরা। কিন্তু কলকাতা পুর-ভোটে সবার আগে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। এবার সবার আগে ইস্তাহার ও প্রকাশ করল তারা। রয়েছে কর্মসংস্থান এবং দুর্নীতি রোধে ব্যবস্থার আশ্বাস। কেবল সবার আগে নয়, ১৫ পাতার ইস্তেহার প্রকাশিত হয়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে।
তাদের এই ইস্তাহারে কলকাতা পুরসভার একাধিক ইস্যুর কথা তুলে ধরা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কর্মসংস্থান। তাদের ইস্তাহারে বলা হয়েছে বর্তমানে যে ২৮ হাজারের বেশি শূন্যপদ রয়েছে, এক বছরের মধ্যে সেই পদগুলিতে নিয়োগ করা হবে। ১০০ দিনের কাজের পরিধি ও কর্মী বাড়ানোরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। শহরে ছোট, পরিবেশ বান্ধব শিল্প তৈরির উদ্যোগের কথাও লেখা হয়েছে।
সবথেকে নতুন বিষয় হল বামেদের উঠোনে পাঠশালার কথা। কি এই উঠোনে পাঠশালা? বামেদের কথায় বস্তি এলাকাগুলিতে স্কুল ছুটদের ফেরাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। দরকারে পুরসভার স্কুলগুলি পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট বস্তিতে। বস্তিতে বস্তিতে গড়ে তোলা হবে ‘কমিউটিনি লার্নিং সেন্টার’। এছাড়াও উঠোনে পাঠশালার মাধ্যমে খুদে পড়ুয়াদের পুষ্টিকর সুষম খাবারের জন্য মিড ডে মিলেরও ব্যবস্থা করা হবে পুরসভার তরফে।
ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ১০ টি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা
এছাড়াও দূষণ মুক্ত কলকাতা গড়ার কথা আছে তাদের এই ইস্তাহারে। সিএনজি অথবা ইলেকট্রিক বাস চালুর জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গ্রিন জোন তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। পুকুর ভরাট কিংবা গাছ কাটার মতো সমস্যা কড়া হাতে দমন করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বামেদের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের মত জনমুখি উদ্যোগ কে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে শ্রমজীবী বাজার চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বামের ইস্তাহারে। এছাড়াও একইসঙ্গে ১০০ দিনের কাজে কর্মীদের দৈনিক মজুরি ন্যূনতম ৩২৭ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি বরোয় শ্রমিক ও দরিদ্রদের জন্য অন্তত একটি করে নাইট শেল্টার বা নৈশ আবাস তৈরির প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পাশাপাশি আছে শ্রমজীবী মহিলাদের সন্তানদের জন্য ক্রেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি।
ভারতে এখন ৪ টি ওমিক্রন কেস রয়েছে: তারা কি বিদেশে ভ্রমণ করেছিল, সব প্রশ্নের উত্তর
বামেদের ইস্তাহারে সবচে উল্লেখ যোগ্য প্রস্তাবিত প্রকল্প হল ‘রামধনুর অধিকার’। যার মাধ্যমে তারা বোর্ড গড়লে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য-বিমা, যাবতীয় সামাজিক সুরক্ষা, পুর-স্কুলে নিখরচায় শিক্ষা এবং সুস্থ কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পুরসভার আয় ও ব্যয়ের হিসাব সহ সমস্ত সমস্ত টেন্ডার এবং প্রকল্পের বাজেট ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে, যাতে স্বচ্ছতা বজাই থাকে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানর জন্য স্বতন্ত্র অভিযোগ সেল খোলা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।