ওয়েব ডেস্ক: ফের ভুয়ো পুলিশ আধিকারিকের সন্ধান মিলল কলকাতায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। সে আবার একসময়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি করত বলে জানা গিয়েছে। নিজেকে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিত সে। এই পরিচয় ঠিকাদারের কাছ থেকে ৪৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ সুমন ভৌমিক নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটা আসলে কি? রাজদেও সিং নামে এক ঠিকাদারের অভিযোগের ভিত্তিতেই সুমনের পর্দা ফাঁস হয়। তিনি চলতি মাসেই চারু-মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, সুমন নিজেকে কখনও বিধাননগর কমিশনারেটের টেন্ডার বিভাগের এসআই। আবার কখনও বিধাননগর কমিশনারেটের অ্যাডিশনাল ডিসি বলে পরিচয় দিত। ওই পরিচয় দিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে ৪৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ সুমন ভৌমিক নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত বিধাননগর কমিশনারেটের প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার।
ধৃতের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৪২০, ৪১৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
রাজ্যগুলির কাছে Oxygen Death-এর তথ্য চাইল কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক কলকাতার ভুয়ো IPS অফিসারের হদিশ মেলে। অভিযুক্ত রাজর্ষি ভট্টাচার্য ওরফে বাবাই-কেই নয়, তার নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, নিজেকে IPS অফিসার পরিচয় দিয়ে নীলবাতি লাগানো গাড়িতে চেপে ঘুরে বেড়াত রাজর্ষি। একাধিক ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত। পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন একবালপুরের এক ব্যবসায়ী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজর্ষি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের কাছথেকে রাইফেল, দোনলা বন্দুক, এয়ারগান এবং পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও প্রচুর গুলি উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে অশোকস্তম্ভ লাগানো আইপিএসের পোশাক এবং ওয়াকি টকি উদ্ধার হয়েছে। কি কারণে সে বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।