ওয়েব ডেস্ক: কলকাতায় আবারও সক্রিয় অনলাইন এক্সটরশন গ্যাং! কলকাতায় সক্রিয় হানিট্র্যাপ। সতর্ক করে জানাল কলকাতা পুলিশ। প্রথমে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। এরপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব জমিয়ে, ভিডিও কল! শেষে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি রেকর্ডিং করে ব্ল্যাকমেল। সম্প্রতি কলকাতা জুড়ে এমনই একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও। কিন্তু কি এই হানি ট্র্যাপ?
কিভাবে কাজ করে এরা
পুলিসের দাবি, প্রথমে সুন্দরী মহিলার ছবি দেওয়া প্রোফাইল থেকে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে। তা অ্যাকসেপ্ট করলেই ওপ্রান্ত থেকে চ্যাট করার অনুরোধ করা হয়। চ্যাটিং শুরুর পর ক্রমেই গভীর হয় বন্ধুত্ব। পুলিশ সূত্রে দাবি, এরপরেই মোক্ষম চাল দেয় প্রতারকরা। ভিডিও কলে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়। আর সেই ভিডিও কলে কথার বলার সময়ই ঘনিষ্ঠ বা ব্যক্তিগত মুহূর্ত লুকিয়ে রেকর্ড করে নেয় প্রতারকরা। একবার ব্যক্তিগত বা ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও প্রতারকদের হাতে চলে গেলেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং।
‘দুয়ারে রেশন’ এর সামগ্রী বণ্টন হচ্ছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে
ইতিমধ্যেই অভিযোগ পেয়ে ১০ জনকে গ্রেফতারও করেছে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর লালবাজারের গোয়েন্দাদের অনুমান, এর নেপথ্যে ভরতপুর, জামতাড়া ও নাইজেরীয় গ্যাং থাকতে পারে। এই পরিস্থিতিতে টুইট করে নাগরিকদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা। কারোর ফোনে এরকম ভিডিও কল এলে, সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে, সংশ্লিষ্ট নম্বরটি ব্লক করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি কেউ যদি ইতিমধ্যেই এইধনের প্রতারণার শিকার হন, তাহলে তাঁকে লজ্জা বা ভয় না পেয়ে দ্রুত পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।