ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল বিজেপি। আর সেই চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু বিজেপি বিধায়ক হয়েও প্রকাশ্যে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়, তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়েও ফিরতে হয় শুভেন্দুকে। চিঠি নিয়ে গিয়েও জমা দিতে পারেননি তিনি। শুক্রবার সেই চিঠিই জমা পড়ল বিধানসভার অধ্যক্ষের দফতরে।
বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ না থাকায় শুক্রবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দিল বিজেপি। ৬৪ পাতার একটি চিঠি জমা দিয়েছেন তিনি। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ তাঁর এই চিঠি গৃহীত হয়েছে অধ্যক্ষের দফতরে। খাতায়–কলমে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নিয়ম অনুযায়ী, এই নোটিস পাওয়ার পর তা স্ক্রুটিনি করে দেখবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ৷ তার পর শুনানির জন্য দু’ পক্ষকেই ডেকে পাঠাবেন তিনি৷ কিন্তু কতদিনে এই শুনানি হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র স্পিকারেরই৷ ফলে বিজেপি-র তরফে যতই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি করা হোক না কেন, কতদিনে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে, তা ঠিক করবেনই অধ্যক্ষই৷
কোন কোন দিক বিচার করে তৈরি হবে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মার্ক শিট? জেনে নিন
তবে ৬৪ পাতার চিঠি দেওয়ার বিষয়টা কার্যত নজিরবিহীন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ওই চিঠিতে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনও করা হয়েছে। আইনি পথেই মুকুল রায়ের মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। উল্লেখ্য, দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে বিধানসভায় যান শুভেন্দু অধিকারী। আর তা জমা করতে না পারায় আজ জমা পড়ল।
গত সোমবার শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুকুল রায় বিধায়ক পদ না ছাড়লে তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার জন্য নোটিস দেওয়া হবে৷ বৃহস্পতিবার বিধানসভা গিয়েও অধ্যক্ষের দফতর বন্ধ থাকায় ফিরে আসেন শুভেন্দু৷ শেষ পর্যন্ত এ দিন নোটিস গ্রহণ করেন অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সচিব৷