লেবু জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটা প্রায়ই বলা হয় যে এটি ভিটামিন C-এর সর্বোত্তম উৎস। স্থূলতা কমাতে বেশিরভাগ মানুষই খালি পেটে লেবু জল পান করেন। এই পানীয়টি শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটি পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি আসে। সেজন্য বেশিরভাগ মানুষই খালি পেটে লেবু জল পান করেন।
লেবু ভিটামিন C সমৃদ্ধ
প্রকৃতপক্ষে, লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। ওজন কমানোর জন্য এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু আপনাদের অবগতির জন্য বলে রাখি যে কিছু মানুষের জন্য এটি মোটেও উপকারী নয়। কিছু মানুষের শরীরের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর। এই মানুষদের ভুল করেও লেবু জল পান করা উচিত নয়।
লেবু জল পানের অপকারিতা
- লেবু জলের অতিরিক্ত সেবনে অম্বল হতে পারে। কারণ এটি পেপসিনকে সক্রিয় করে, একটি এনজাইম যা প্রোটিন ভেঙে দেয়। এটির অতিরিক্ত সেবন পেপটিক আলসারকে আরও বিপজ্জনক করে তুলতে পারে।
- কিডনিতে পাথরের সমস্যা : লেবু জল পান করলেও জলশূন্যতা হতে পারে। আসলে, আপনি যখন লেবু জল পান করেন, তখন এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এই প্রক্রিয়ায়, অনেক ইলেক্ট্রোলাইট এবং সোডিয়ামের মতো উপাদান প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয় এবং আপনার ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। লেবুর জল অতিরিক্ত সেবনেও পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত ভিটামিন C গ্রহণ রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি বিপজ্জনক হতে পারে। এটি আপনার অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনি কি আপনার চা আবার গরম করেন? এটি করা কেন উচিত নয় জানুন
- লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, এটি ছাড়াও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সালেট। যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা হয় তবে এটি ক্রিস্টাল আকারে শরীরে জমা হয়, যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- বেশি পরিমাণে লেবু জল খেলে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। লেবুতে অ্যাসিডিটি থাকে, যার কারণে এটি হাড়ের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
- অতিরিক্ত লেবু জল খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড থাকে। এটি খেলে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
- টনসিলের সমস্যা থাকলে লেবু জল পান করবেন না। কারণ এটা করা ক্ষতিকর হতে পারে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, লেবুর কল বেশি খেলে গলা ব্যথা হতে পারে।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।