Table of Contents
আজকাল ডায়াবেটিস ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে। এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না, তবে ওষুধ এবং কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে নির্দিষ্ট কিছু গাছের পাতা শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আজকাল ডায়াবেটিস ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠছে, পরিবারের অন্তত একজন সদস্য এতে ভুগছেন। জেনেটিক্স একটি সাধারণ কারণ। তবে, অবনতিশীল জীবনধারা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, কার্যকলাপের অভাব এবং কিছু অভ্যাস ডায়াবেটিস সহ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির কারণ হতে পারে। যদিও এটি বয়সের সাথে সাথে দেখা দিত, এখন এটি ছোট বাচ্চাদেরও প্রভাবিত করছে। এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়। উপরন্তু, কিছু জীবনধারা পরিবর্তন অপরিহার্য। উপরন্তু, কিছু ঘরোয়া প্রতিকার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। তবে, আপনার বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করার পরেই এটি খাওয়া উচিত। আসুন কিছু গাছের পাতা অন্বেষণ করি যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞরা কি বলেন?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ কিরণ গুপ্ত ব্যাখ্যা করেন যে নির্দিষ্ট কিছু গাছের পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। নিম পাতা, জামুন, জবা, চিরসবুজ এবং করলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এই সকলের পুষ্টি উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তবে, এগুলি সীমিত পরিমাণে এবং আপনার শরীরের প্রকৃতি অনুসারে খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : রোজমেরি স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা এবং চুল পড়ার সমস্যা দূর করবে, জানুন
কীভাবে এগুলি খাবেন
এই পাতাগুলি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। আপনি এই পাতাগুলির যেকোনো একটি থেকে রস তৈরি করতে পারেন বা পান করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ৫ থেকে ৬টি নিম পাতা পরিষ্কার করে সামান্য জল দিয়ে পিষে রস তৈরি করতে পারেন। আপনি এগুলি চিবিয়েও খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে এগুলি খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। তবে, আপনার বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন এবং আপনার খাদ্যতালিকায় সীমিত পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে চিনির মাত্রা কম হতে পারে বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন : চুল পড়া নিয়ে সমস্যায় পরেছেন? ঘরেই তৈরি করুন চুলের তেল
এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী সময়মতো ওষুধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন, যেমন দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো বা যোগব্যায়াম। নিশ্চিত করুন যে আপনি প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাচ্ছেন। মিষ্টি, সাদা রুটি, ভাত এবং মিহি আটা এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যতালিকায় কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। সময়মতো খাবার খান। দীর্ঘক্ষণ উপবাস এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও, নিয়মিত চেকআপের সময়সূচী নির্ধারণ করুন। অতিরিক্তভাবে, মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম এবং ধ্যান অনুশীলন করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা, কোন পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। এটি অনুসরণ করার আগে একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।