ডিজিটাল ডেস্ক: হাওড়া এবং হুগলীতে দাঙ্গার পর, ওই এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধারের আবেদন নিয়ে এইদিন হুগলীতে মিছিল করে বাম দিল গুলি। বামফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের নেতারা ছাড়াও এইদিন বামফ্রন্টের বাইরে থাকা CPIML এবং SUCI(C) এর মতো দলগুলিও এই মিছিলে অংশ নিয়েছিল।
হুগলীর কোন্ননগরের বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল পর্যন্ত সম্প্রীতির মহামিছিলে পা মেলালেন বাম নেতা কর্মীরা। কিছুদিন আগে হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল রিষড়া। হুগলীতে রবিবার বাম দলগুলির পদযাত্রায় ভিড় হয়েছিল নজর টানার মতো। ভিড়ের চাপে কয়েক ঘণ্টা প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জি টি রোডের স্বাভাবিক গতি। এদিন হুগলীর রাস্তা লাল পতাকায় মুড়ে যায়। বাম নেতৃত্বের অনেকেরই মতে, সাম্প্রতিক কালে হুগলীতে বামেদের মিছিলে এত ভিড় চোখে পড়েনি।
বামফ্রন্টের সভাপতি বিমান বোস, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ছাড়াও জেলা বামফ্রন্ট নেতারা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে, পলিটব্যুরোর সদস্য কার্তিক পাল এবং SUCI (C) পলিটব্যুরোর সদস্য অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক সন্তোষ ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য নেতারা CPI(ML)-এর পক্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আবারও তীব্র ভাষাই তৃনমূল সরকার কে নিসানা করলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
মহম্মদ সেলিম বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গে দাঙ্গার প্রচার করছে। যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঐক্য বজায় না থাকে এবং জনগণ তাদের মূল দাবি বেকারত্ব, দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, দুর্বল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মতো মৌলিক দাবির সমর্থনে শাসক দলের বিরুদ্ধে রাজপথে না নামে সেইজন্যই পরিকল্পনা মাফিক এই দাঙ্গা করানো হয়েছে।
রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এদিন দাবি করেন, অশান্তির ঘটনা আগে থেকেই আঁচ করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন তিনি তা রোধ করার জন্য পদক্ষেপ করলেন না? সেই সঙ্গে এদিন প্রবীণ বাম নেতার অনুরোধ, দাঙ্গাবাজদের জন্য দয়ামায়া দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। দাঙ্গাবাজরা সমাজের শত্রু।