ডিজিটাল ডেস্ক: এবার জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল। সাথে সিপিআই (কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া) এবং মহারাষ্ট্রের নেতা শরদ পওয়ারের এনসিপি (ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি)-র জাতীয় দলের তকমাও হারালেন।
২০১৬ সালে বাংলা, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মণিপুরে রাজ্যদলের স্বীকৃতি পায় তৃণমূল। তারপরই তৃণমূলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। সে সময় লোকসভা ভোটে ৪টি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ‘রাজ্য দল’ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ৭ বছরের মাথায় এই তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের অন্তত একটি পূরণ করতে হয়।
এক, লোকসভায় অন্তত চারটি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে।
দুই, লোকসভায় ৩টি রাজ্য থেকে অন্তত ১১টি আসন (মোট আসনের ২ শতাংশ) জিততে হবে এবং আগের জেতা আসনের অন্তত চারটি পুনরায় জিততে হবে।
তিন, অন্তত চারটি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে।\
আরও পড়ুন: বামেদের শান্তি মিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জ, ক্ষুব্ধ বাম কর্মী সমর্থক
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে শর্ত তারা পূরণ করতে পারেনি। সে বছর অরুণাচলের বিধানসভা ভোটেও কোনও আসনে জিততে তারা ব্যর্থ হয় তারা। এর পর ২০২২ সালে মণিপুর এবং চলতি বছরে ত্রিপুরাতেও আঞ্চলিক দল হওয়ার শর্তপূরণের সুযোগ হারায় তারা। ত্রিপুরায় মোট ভোটের হিসাবে নোটার চেয়েও পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়।
আরও পড়ুন : আবারও তীব্র ভাষাই তৃনমূল সরকার কে নিসানা করলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
পাশাপাশি জাতিও দলের তকমা পেলো আরিবিন্দ কেজেওালের APP। ২০১৫-র নির্বাচনে ৬৭ আসন জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন কেজরিওয়াল। ২০২০-তে ফের দিল্লি বিধানসভা দখল করে আম আদমি পার্টি। আসন সংখ্যা ৫টি কমলেও মোট ৬২টি কেন্দ্রে জেতেন তাঁরা।
২০১৭-য় প্রথমবার দিল্লির বাইরে অন্য রাজ্যে প্রার্থী দেন কেজরিওয়াল। গোয়া ও গুজরাটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে AAP। যদিও কোনও জায়গাতেই জয়ের মুখ দেখতে পারেনি তাঁরা। তবে ২০২২-র বিধানসভা নির্বাচনে ১১৭-র মধ্যে ৯২ আসন জিতে পঞ্জাবে ক্ষমতায় আসে AAP। মুখ্যমন্ত্রী হন ভগবন্ত মান। অন্যদিকে ওই বছরই গোয়া বিধানসভায় ২টি আসন জেতে কেজরিওয়ালের দল। শুধু তাই নয়, গত বছর গুজরাট বিধানসভাতেও ৫টি আসন জিতেছিলেন তাঁরা।