ডিজিটাল ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলীর রিষরাই হিংসা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিরুদ্ধে সোমবার সন্ধ্যায় বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি শান্তি মিছিল বের করা হয়। কিন্তু সালকিয়া মোড়ে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। পুলিশ লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে শামিল বাম কর্মী সমর্থকদের গাড়ির কাচ ভাঙার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের এই মনোভাবের কারণে মিছিলে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। এ নিয়ে পুলিশ ও বাম কর্মীদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। সেখানে পদদলিত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে কয়েকজন সমর্থক রাস্তাই পড়ে সামান্য আহত হন।
তথ্য অনুযায়ী, বালিখাল এলাকা থেকে বামফ্রন্টের শান্তি মিছিল বের হয়েছিল। মিছিলটি জিটি রোড হয়ে পিলখানা (ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কোম্পানির কাছে) পৌঁছানোর কথা ছিল, যেখানে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। মিছিলে অংশ নেন পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী সমর্থক। বিকেল ৫টার দিকে মিছিলটি সালকিয়া মোড়ের কাছে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলকে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। মিছিলে শামিল ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। মিছিল বন্ধ করে দিলে সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: আবারও তীব্র ভাষাই তৃনমূল সরকার কে নিসানা করলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
পুলিশ নিরাপত্তার কথা বলে সমর্দেথক দের ফিরে যাওয়ার আবেদন করলেও তারা রাজি হয়নি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। পুলিশ মিছিল কে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। তবুও বাম সমর্থকরা অনড়। জিটি রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে। জিটি রোড, বেনারস রোড ও অরবিন্দ রোডে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দাড়িয়ে পরে। সালকিয়া মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টা হট্টগোল হয়।
আরও পড়ুন : SFI ও DYFI এর বারাসত জেলা পরিষদ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার
সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, পুলিশি এই আচরণে শান্তি মিছিল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়। বালিখাল থেকে পিলখানা পর্যন্ত 144 ধারা প্রযোজ্য নয়। তা সত্ত্বেও পুলিশ মিছিলকে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, যেদিন হাওড়ার শিবপুরে দাঙ্গাবাজরা হিংসা ও অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছিল, সেদিন পুলিশ দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পুলিশের সামনেই তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল দুর্বৃত্তরা। বামফ্রন্টের একটি শান্তি মিছিল বের করা হয়েছিল, যার ওপর হাওড়া সিটি পুলিশ আক্রমণ করেছে।
মোহাম্মদ সেলিম, সিপিআই (এম) নেতা।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, মিছিলে বাধা দিয়ে পুলিশ ঠিক করেনি। মিছিল বন্ধ করার কোন কারণ ছিল না। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যাচ্ছিলাম। কিন্তু মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ বাধা দেয়।