ওয়েব ডেস্ক: বুধবার সকালই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সাথে ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং রামচন্দ্র ডোম। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন বাম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পুলিশের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘‘অপরাধীরা যখন এই বাড়িগুলিতে খুন করছিল, তখন পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল।’’
মহম্মদ সেলিম বলেন, ”নবান্নের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ চলে না। সেই পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে কি করে? এখানে যখন খুন হচ্ছিল তখন পাশেই ছিল পুলিশ।” একইসঙ্গে CPIM রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, ”সমস্ত তথ্য প্রমাণ অসুরক্ষিত রয়েছে। প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” এদিন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ”গণহত্যায় অভিযুক্তদের মানুষের দরবারে বিচার হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে তদন্ত হবে। সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) আসবে। কেউ যেন প্রমাণ নষ্ট না করতে পারে। প্রমাণ নষ্ট করতে পারবে শুধু সিট। সেই কারণেই সিট গঠন করা হয়েছে।’’ মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, সাজিদুলের বাবা কাজি নুরুল রামপুরহাট এবং নানুর পুলিশ স্টেশনে গেলেও তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। সরকারের তরফ থেকে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা জানানো হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন সিআইডি বা সিবিআই— যেই তদন্ত করুক, কোনও লাভ হবে না।
রণক্ষেত্র রামপুরহাট! তৃণমূল নেতা খুনে রাতভর দুষ্কৃতী তাণ্ডব, পুড়িয়ে খুন ১০ জনকে
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে সমাধিস্থ করা হয় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হওয়া ৮ জন গ্রামবাসীকে। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলও কাজ শুরু করে দিয়েছে। আবার গ্রামে যেতে পারেন তাঁরা। পাশাপাশি আতঙ্কের জেরে ইতিমধ্যেই গ্রাম ছাড়ছেন অনেক গ্রামবাসী। গ্রাম ছেড়েছেন ভাদু শেখের পরিবারের সদস্যরাও।
এদিন দুপুরে বগটুই গ্রামে পৌঁছনোর কথা BJP-র প্রতিনিধি দলেরও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এদিন রামপুরহাট যাবেন BJP বিধায়করা।