ওয়েব ডেস্ক: উপপ্রধান খুন এবং একের পর এক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘণ্টা। তবে এখনও থমথমে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। বুধবার সকালে এই গ্রামে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে আগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এবার এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাই কোর্ট।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে আদালতকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার অনুরোধ করে। এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এই মামলা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। আর বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দেন, রামপুরহাটের ঘটনায় আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করল।
নবান্নের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ চলে না, প্রমাণ নষ্ট করতে পারে সিট! বগটুই পৌঁছেই বিস্ফোরক সেলিম
বুধবার হাই কোর্টে কাজ শুরুর পরই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং সরকারি কৌঁসুলিকে এজলাসে ডেকে প্রধান বিচারপতি। রামপুরহাট কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের কথা জানিয়ে দেন তিনি। বুধবার দুপুর ২টোয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা জঘন্য অপরাধ। অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত। ১০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। ঘরবন্দি করে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হল। এই ধরনের ঘটনার পিছনে যারা আছে তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।”