Table of Contents
শীতকাল আসছে এবং দূষণের মাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূষণের মাত্রা বেড়েছে, বিশেষ করে দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায়। বাতাসে থাকা ছোট ছোট কণা সরাসরি ফুসফুসে প্রভাব ফেলে। বাতাসের মান খারাপ হওয়ার কারণে হাঁপানি রোগীরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই সময়ে তাদের সমস্যা বৃদ্ধি পায়, বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। ডাক্তাররা এই ঋতুতে হাঁপানি রোগীদের তাদের ইনহেলার সাথে রাখার পরামর্শ দেন।
দিল্লির জিটিবি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ কুলদীপ কুমার ব্যাখ্যা করেন যে হাঁপানি রোগীদের এই সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ বর্ধিত দূষণ হাঁপানির আক্রমণের কারণ হতে পারে। হাঁপানি রোগীদের বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরা উচিত, বিশেষ করে N95 মাস্ক এবং ইনহেলার ছাড়া কখনই ঘর থেকে বের হবেন না। দূষণ বেশি হলে ঘর থেকে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। সকালে স্টিম বাথ নিন এবং ঘর ধুলো বা ঝাড়ু দিলে মাস্ক পরুন।
এছাড়াও, আপনার খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিন
ডাঃ কুলদীপ বলেন যে এই সময়ে হাঁপানি রোগীদের তাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাদের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই সময়ে আমলা এবং লেবুও সুপারিশ করা হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এই উদ্দেশ্যে যোগব্যায়ামও করতে পারেন। আপনি অনুলোম-বিলোম এবং কপাল ভাতির মতো কিছু প্রাণায়াম ব্যায়াম করতে পারেন। তবে, এটি করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন : আর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কি কি? কীভাবে এটি প্রতিরোধ করবেন? জানুন
হাঁপানি রোগীদের জন্য তাদের ইনহেলার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি সর্বদা তাদের সাথে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দূষণ হঠাৎ, তীব্র কাশি এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য একটি ইনহেলার অপরিহার্য। এটি হাঁপানির লক্ষণগুলিকে তীব্র হতে বাধা দেবে।
যদি আপনি এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে হাসপাতালে যান:
- শ্বাসকষ্ট
- কম অক্সিজেনের মাত্রা
- রাতে দ্রুত শ্বাসকষ্ট
- কাশির সাথে উচ্চ জ্বর
Disclaimer: এই নিবন্ধটি কেবল তথ্যবহুল এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
