Table of Contents
ঠাণ্ডা লাগার মৌসুম শুরু হয়ে গেছে, এবং এই মৌসুমে ঠাণ্ডা লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠাণ্ডা লাগাকে সাধারণত নাক এবং গলার একটি হালকা সংক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, ঘন ঘন হাঁচি এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। ঠাণ্ডা লাগা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়, তবে এই সময়ের সবচেয়ে ঝামেলার সমস্যা হল নাক ফুলে যাওয়া এবং রক্ত জমাট বাঁধা।
ঠাণ্ডা লাগা শরীরের সরাসরি ক্ষতি করে না, তবে এর লক্ষণগুলি একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন রুটিনে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি নাক দিয়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা, ঘন ঘন নাক ফুঁ দেওয়া এবং ক্রমাগত গলা ব্যথার কারণ হতে পারে। ক্রমাগত হাঁচি ক্লান্তি এবং ভারী মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। নাকের ভিতরে প্রদাহ নাকের পথ সরু করে দেয়, যার ফলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। কাশি, চোখ দিয়ে জল পড়া, স্বরস্বাদু ভাব এবং স্বাদ হ্রাস পাওয়াও সাধারণ লক্ষণ। শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের সর্দি-কাশির সম্ভাবনা বেশি।
সর্দি-কাশির কারণ কি?
আরএমএল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডাঃ সুভাষ গিরি ব্যাখ্যা করেন যে সর্দি-কাশির কারণ মূলত ভাইরাস। এই ভাইরাসগুলি বাতাসের মাধ্যমে বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে। ঠাণ্ডা আবহাওয়া নাকের পৃষ্ঠকে শুষ্ক করে দেয়, যার ফলে ভাইরাসগুলি আরও সহজেই লেগে থাকে এবং সংক্রমণ ঘটায়। ঠাণ্ডা বাতাসে বাইরে বের হওয়া, পর্যাপ্ত গরম পোশাক না পরা এবং অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানীয় পান করাও সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন : চুল পড়া ৭ দিনেই বন্ধ হয়ে যাবে, শুধু এই জাদুকরী চুলের তেলটি লাগান।
যখন কেউ ঘন ঘন মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করে এবং হাত পরিষ্কার না রাখে তখনও সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর্দ্রতা কম থাকলে ভাইরাস বেশি দিন বেঁচে থাকে, যে কারণে শীতকালে সর্দি-কাশির প্রকোপ বেশি থাকে। বাজার, বাস, স্কুল বা অফিসের মতো জনাকীর্ণ স্থানগুলিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে কারণ ভাইরাসগুলি বাতাসে আরও সহজে সঞ্চালিত হয়।
এটি কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
- বাইরে বের হওয়ার সময় আপনার নাক এবং কান গরম রাখুন।
- ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নাও।
- প্রচুর জল পান করো।
- বেশিক্ষণ ভিড়ের জায়গায় থাকবে না।
- কাশি বা হাঁচি দিলে রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখো।
