Table of Contents
আজকাল ডায়াবেটিসের(High Sugar) ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করছে। এটি এমন একটি অবস্থা যা সরাসরি শরীরের শক্তির ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে। যখন ইনসুলিন হরমোন সঠিকভাবে কাজ করে না বা অপর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদিত হয়, তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে উচ্চ চিনির মাত্রা বা ডায়াবেটিস হয়। সাধারণত, উপবাসে চিনির মাত্রা ৭০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএলের মধ্যে থাকে। ১০০ থেকে ১২৫ মিলিগ্রাম/ডিএল প্রি-ডায়াবেটিস নির্দেশ করে এবং ১২৬ মিলিগ্রাম/ডিএলের বেশি যেকোনো কিছু ডায়াবেটিস নির্দেশ করতে পারে। অতএব, এর লক্ষণগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে উচ্চ চিনির(High Sugar) মাত্রার কারণগুলি বোঝা যাক।
উচ্চ রক্তে শর্করার(High Sugar) মাত্রার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল অনুপযুক্ত ইনসুলিনের কার্যকারিতা। খারাপ জীবনযাত্রার অভ্যাস, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড গ্রহণ, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, স্থূলতা, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, হরমোনের পরিবর্তন এবং জিনগত কারণগুলিও রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। রক্তে শর্করার(High Sugar) মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ থাকে, যা হৃদপিণ্ড, কিডনি, চোখ, স্নায়ু এবং ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি ব্যর্থতা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, স্নায়ুর অসাড়তা এবং ক্ষত ধীর নিরাময়ের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব, সময়মতো উচ্চ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন এর লক্ষণগুলি অন্বেষণ করি।
উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রার লক্ষণগুলি কি কি?
দিল্লির আরএমএল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সুভাষ গিরি ব্যাখ্যা করেন যে যখন রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীর বিভিন্ন সংকেত প্রদর্শন করে, যেমন তৃষ্ণা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্ষুধা বৃদ্ধি, ক্লান্তি, ঝাপসা দৃষ্টি, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, শুষ্ক ত্বক এবং ধীর ক্ষত নিরাময়। কখনও কখনও, হাত ও পায়েও ঝাপসা বা অসাড়তা অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন : গুড়েরও একটি মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ আছে? জানুন এগুলো নষ্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি
রক্তে শর্করার মাত্রা(High Sugar) খুব বেশি বেড়ে গেলে, গুরুতর লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন শ্বাসকষ্ট, বিভ্রান্তি, দ্রুত হৃদস্পন্দন, বমি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, পানিশূন্যতা এবং কেটোএসিডোসিসের ঝুঁকি। ঘন ঘন সংক্রমণ এবং ত্বকে চুলকানিও উচ্চ রক্তে শর্করার লক্ষণ হতে পারে। যদি এই লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
রক্তে শর্করা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।
- চিনি, মিহি আটা এবং জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন।
- ফাইবার, শাকসবজি, ডাল এবং গোটা শস্য খান।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান।
- প্রচুর জল পান করুন এবং মানসিক চাপ কমান।
- নিয়মিত আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খান এবং নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন।
