Table of Contents
শীতকালে আপনার লিভারের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মৌসুমে, শরীরের বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, যার ফলে লিভারের উপর কাজের চাপ বেড়ে যায়। এই সময়ে আপনার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি মনোযোগ না দিলে চর্বি জমা, প্রদাহ এবং হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া, অপর্যাপ্ত জল গ্রহণ এবং ফাইবারের অভাবও লিভারকে দুর্বল করে দিতে পারে। অতএব, এই মৌসুমে সুষম খাদ্য বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে আপনার লিভারের খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
ভারী ভাজা খাবার, উচ্চ চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার লিভারে চর্বি জমার কারণ হতে পারে। এটি লিভারের নিজেকে পরিষ্কার করার ক্ষমতা হ্রাস করে এবং প্রদাহ বাড়ায়। লাল মাংস এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়াও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। কিছু মানুষ, নিজেদের সুস্থ মনে করে অতিরিক্ত জুস, প্যাকেট জাত খাবার বা তাৎক্ষণিক খাবার গ্রহণ করে, যা লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি বাড়ায়। তাহলে, শীতকালে লিভার সুস্থ রাখতে কোন খাবার খাওয়া উচিত তা জেনে নেওয়া যাক।
শীতে লিভার সুস্থ রাখতে কি খাওয়া উচিত?
দিল্লির আরএমএল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডঃ সুভাষ গিরি ব্যাখ্যা করেছেন যে শীতকালে লিভার সুস্থ রাখার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। পালং শাক, ব্রকলি এবং অ্যাসপারাগাসের মতো সবুজ শাকসবজি লিভারকে বিষমুক্ত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আপেল, কমলা এবং পেঁপের মতো ফল লিভার পরিষ্কার করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী।
আরও পড়ুন : ঠাণ্ডায় ক্রমাগত ক্লান্তি কি ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ? জানুন
ওটস এবং আস্ত শস্য খেলে লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি কমে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়। আখরোট, বাদাম এবং শণের বীজের মতো পরিমিত পরিমাণে বাদাম এবং বীজ গ্রহণ করলে লিভারে স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ হয়, প্রদাহ কমায় এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত হয়। ডাল প্রোটিন এবং ফাইবারের একটি ভালো উৎস। পরিমিত পরিমাণে গ্রিন টি এবং জলপাই তেল গ্রহণ লিভারের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
লিভারের স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ:
- প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
- আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
- সঠিক বিপাক এবং লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমান।
