Table of Contents
দেশের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এই সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি আরও সতর্ক থাকা উচিত। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে গর্ভাবস্থায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার সংস্পর্শে আসা নবজাতকের জন্মের ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে। এই গবেষণাটি PubMed-এ প্রকাশিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং অন্যান্য বিশ্ব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
গবেষকরা বলছেন যে গর্ভাবস্থায় পরিবেশগত তাপমাত্রা শিশুর শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। আসুন এই গবেষণা সম্পর্কে আরও জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থা এবং শিশুর ওজনের উপর ঠাণ্ডা কি প্রভাব ফেলে?
গবেষণা অনুসারে, গর্ভাবস্থায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকলে, কিছু ক্ষেত্রে, শিশুর জন্মের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে তাপমাত্রার ক্রমাগত হ্রাস গর্ভের মধ্যে শিশুর বৃদ্ধির হারকে প্রভাবিত করতে পারে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময় আবহাওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
গবেষকরা আরও স্পষ্ট করেছেন যে এই প্রভাব সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের সমানভাবে প্রভাবিত করে না, তবে পরিবেশগত কারণ, পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে। তবে, তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে যে ঠাণ্ডা অঞ্চলে জন্ম নেওয়া কিছু শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আবহাওয়াও গর্ভাবস্থার ফলাফলকে প্রভাবিত করার একটি কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন : ৫টি খাবার যা আপনার দাঁতের জন্য আশ্চর্যজনকভাবে খারাপ, জানুন ডাক্তার কি বলছেন
শিশু কি কি সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে?
আরএমএল হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের ডাঃ সালোনি চাড্ডা ব্যাখ্যা করেছেন যে কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুরা প্রাথমিকভাবে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। গবেষণা অনুসারে, এই ধরনের শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি হতে পারে এবং তাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। উপরন্তু, কম ওজনের জন্মের ফলে শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে, জীবনের পরবর্তী সময়ে বিকাশগত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তবে, ডাক্তাররা বলছেন যে সময়মত যত্ন এবং সঠিক পুষ্টি এই ঝুঁকিগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।
কীভাবে যত্ন নেবেন?
- শীতকালে সর্বদা আপনার শরীর উষ্ণ রাখুন।
- সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে চেকআপের সময়সূচী নির্ধারণ করুন।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং ঘুমান।
- ঠাণ্ডা লাগা বা অন্য কোনও অস্বস্তি উপেক্ষা করবেন না।
