Table of Contents
সুস্থ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি হল সুস্থ হজম। আর সেই হজম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, বারবার একটি নাম উঠে আসে – ফাইবার। ডাল, শাকসবজি, ফল, বাজরা সবগুলোতেই ফাইবার থাকে। এটি কেবল হজমের জন্য উপকারী নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে কাজ করে। কিন্তু প্রশ্ন হল, অতিরিক্ত ফাইবার খাওয়ার কি কোনও সমস্যা আছে?
মেদান্ত হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ অমরেন্দ্র সিং পুরী বলেন, ফাইবার নিঃসন্দেহে শরীরের জন্য উপকারী। এটি অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। তবে, অন্য সবকিছুর মতো, এখানেও পরিমিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি হঠাৎ করে খুব বেশি ফাইবার খান, তাহলে শরীর এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।
আরও পড়ুন : কিভাবে জীবনযাত্রা পরিবর্তন করে আমরা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, জানুন
অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে সৃষ্ট সমস্যা
ডাঃ পুরীর মতে, যদি আপনি প্রতিদিন ৪০-৪৫ গ্রামের বেশি ফাইবার খান এবং পর্যাপ্ত জল পান না করেন, তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে—
- গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
- ডায়রিয়া হতে পারে
- শরীর ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ শোষণ করতে অক্ষম
- আইবিএস, ক্রোনস রোগ বা অন্ত্রের প্রদাহে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আরও সমস্যা হতে পারে।
ফাইবার কীভাবে খাওয়া উচিত?
- ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করুন: হঠাৎ করে বেশি না খেয়ে ধীরে ধীরে ফাইবার বৃদ্ধি করুন।
- পর্যাপ্ত জল পান করুন: আপনার প্রতিদিন কমপক্ষে ২.৫-৩ লিটার জল পান করা উচিত।
- বিভিন্ন উৎস থেকে পান করুন: ডাল, ফল, শাকসবজি, বাজরা, এগুলো সবই হজমের উন্নতি করে।
- পুরো খাবার খান: ফলের রস বা স্মুদির পরিবর্তে পুরো ফল খান।
- আপনার শরীরের কথা শুনুন: যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে এটি একটু কমিয়ে দিন, তারপর ধীরে ধীরে বাড়ান।
আরও পড়ুন : ভেজানো খেজুর নাকি শুকনো খেজুর ? কোনটি আপনার জন্য ভাল জানুন
ডাঃ পুরীর মতে, “ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য আশীর্বাদ, কিন্তু সঠিক পরিমাণে থাকলেই এটি কাজ করবে। বেশি পরিমাণে থাকা সবসময় ভালো নয়। আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ধীরে ধীরে আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। পরিপূরক গ্রহণের পরিবর্তে ঘরে তৈরি খাবার আপনাকে সেরা ফলাফল দেবে।”
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা, এটি অনুসরণ করার আগে একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।