Table of Contents
মাঝে মাঝে মাথা ঘোরা স্বাভাবিক; এটি দুর্বলতা বা রক্তচাপের ওঠানামার কারণেও হতে পারে। তবে, যদি ঘন ঘন মাথা ঘোরা হয়, তবে এটি একটি সমস্যা হতে পারে। তবে, লোকেরা প্রায়শই এটি উপেক্ষা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে মাথা ঘোরা একটি স্নায়বিক ব্যাধি। বয়সের সাথে সাথে ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এমনকি ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
সিনিয়র স্নায়ু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনির্বাণ বিশ্বাস ব্যাখ্যা করেন যে মাথা ঘোরা একটি ভারসাম্য ব্যাধি হিসাবে বিবেচিত হয়। রোগীরা প্রায়শই চার থেকে সাতটি ভিন্ন বিশেষজ্ঞের কাছে যান এবং ব্যয়বহুল এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান করান, যার সাথে তাদের অন্তর্নিহিত সমস্যার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। এমআরআই করার পরেও, মাথা ঘোরার সঠিক কারণ অনির্ধারিত থাকে।
ডাঃ অনির্বাণ ব্যাখ্যা করেছেন যে মাথা ঘোরার ২৭ শতাংশ রোগীর ভেতরের কানের (ভেস্টিবুলার সিস্টেম) সমস্যা থাকে, তবে বেশিরভাগ ডাক্তার এটিকে কেবল একটি সমস্যা হিসাবে বিবেচনা করেন, যদিও আসল কারণ মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন মাইগ্রেন বা ঘাড়ের স্নায়ুর উপর চাপের কারণে ভারসাম্য হারানো।
সঠিক চিকিৎসার অভাবে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
ডাঃ অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন যে ভার্টিগোর সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে এটি হতাশা এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা রোগীদের জীবনযাত্রার মানকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। অতএব, মাথা ঘোরা হালকা ভাবে না নেওয়া এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : সানস্ক্রিন নাকি ময়েশ্চারাইজার… প্রথমে কি লাগাবেন? সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন
এটি একটি সাধারণ মাথাব্যথা নাকি ভার্টিগো তা কীভাবে চিহ্নিত করবেন?
একটি সাধারণ মাথাব্যথা চাপ, ভারী হওয়া বা মাথায় ব্যথা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তবে, ভার্টিগো মাথা এবং পুরো শরীরকে ঘুরানোর মতো অনুভব করতে পারে। মাথাব্যথা সাধারণত কপাল বা মাথার পিছনে অনুভূত হয়। তবে, ভার্টিগো মাথা ঘোরা বৃদ্ধি করতে পারে এবং নড়াচড়ার সময় ভারসাম্য হারাতে পারে। মাথা ঘোরার সাথে বমি বমি ভাব বা ঘাম এবং কানে ব্যথাও হতে পারে।
দাবিত্যাগ: এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য এবং এটি চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে নেওয়া উচিত নয়। কোনও নতুন রুটিন শুরু করার আগে সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
