Table of Contents
হাড় কেবল শরীরকে শক্ত করে না, বরং আমাদের রক্তে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বার্ধক্য, হরমোনের পরিবর্তন, খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করতে পারে, যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতএব, ছোট থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্যই শক্তিশালী হাড় বজায় রাখা অপরিহার্য। শক্তিশালী হাড় শরীরকে সক্রিয় রাখে, ভাঙা রোধ করে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পেতে শুরু করলে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে, লক্ষণগুলি হালকা হয়, যেমন হাড়ের জয়েন্টে হালকা অস্বস্তি, ক্লান্তি, বা হাঁটার সময় চাপ অনুভব করা। তবে, সমস্যাটি ধীরে ধীরে আরও খারাপ হয়। দীর্ঘমেয়াদী ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ঘাটতি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এই পরিস্থিতিতে, হাড় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে সামান্য পড়েও বড় ফ্র্যাকচার হতে পারে। পিঠ, হাঁটু এবং মেরুদণ্ড বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফিটনেস হ্রাস পায়, ভারসাম্য নষ্ট হয়, হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই অবস্থা এতটাই তীব্র হয়ে উঠতে পারে যে তারা অন্যদের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে। তাই হাড়ের দুর্বলতাকে হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়।
হাড়ের শক্তির জন্য কি খাবেন?
দিল্লির এইমসের অর্থোপেডিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ ভাবুক গর্গ ব্যাখ্যা করেন যে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অপরিহার্য। নিরামিষাশীদের তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ, দই, পনির, বাটারমিল্ক, তিল, বাদাম, রাজমা, ছোলা, মেথি বীজ, সয়াবিন এবং পালং শাক, মেথি এবং সরিষার মতো সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। Omega-3 হাড়ের জন্যও উপকারী বলে বিবেচিত হয়, যার জন্য তিসির বীজ একটি চমৎকার পছন্দ।
আরও পড়ুন : ওজন কমানোর জন্য কোনটি বেশি কার্যকর, জিরা না ধনে, বিশেষজ্ঞরা কি বলেন জানেন?
আমিষভোজীদের জন্য, দুগ্ধজাত দ্রব্য, স্যামন এবং সার্ডিনের মতো মাছ, ডিম, মুরগি এবং হাড়ের ঝোলও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। শরীর যাতে ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে তার জন্য সূর্যের আলোও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সকালের রোদে ১৫-২০ মিনিট সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এছাড়াও, শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করুন এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করুন। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি, শরীরকে নড়াচড়া করতে হবে, যা হাড়কে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে।
এটিও গুরুত্বপূর্ণ:
- আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
Disclaimer: এই তথ্য এবং এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আপনি বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
