ওয়েব ডেস্ক: ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী না দিয়ে পরোক্ষভাবে পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছে কংগ্রেস। কেন্দ্রে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরবর্তীকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সবার নিশানাতেই কংগ্রেস। তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে এবার কংগ্রেসের হয়ে মমতাকে প্রতি আক্রমণে নামলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন বিজেপির ট্রোজান হর্স হলেন মমতা। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে বিরোধীদের সবরকমের জোট থেকে দূরে রাখতে বলেও সতর্ক করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিত্র হলেও বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন না। কংগ্রেসকে বলিদান দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে নিজের দলকে বাড়াতে চাইছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করেছেন, তাঁকে শেষ করেছেন। এহেন ব্যক্তিকে কখনই বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিশ্বাস করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আর আগবাড়িয়ে কংগ্রেসের সাথে জোট নয় হাত বাড়ালে ভেবে দেখব, সিপিএম
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু সেই রাস্তায় বড় বাধা হচ্ছে কংগ্রেস বলে মনে করছেন তিনি। অধীর চৌধুরী বলেন, যতদিন কংগ্রেস থাকবে, ততদিন মমতা কখনই বিরোধী ফ্রন্টের নেতা হতে পারবেন না, এটা ভাল করেই জানেন মমতা। সেই কারণে তিনি কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ও নেতৃত্বকে ক্রমাগত খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। কংগ্রেস ছাড়া সারা দেশে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট তৈরি করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শীতলকুচিকাণ্ডে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করলো কলকাতা হাইকোর্ট
অধীর এদিন আরও বলেন, ‘ইডি এবং সিবিআই থেকে নিজের পরিবার ও দলীয় নেতাদের বাঁচাতে মমতা মরিয়া হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করার চেষ্টা করে চলেছেন। আসলে, বিজেপির উদ্দেশ্য কংগ্রেস-মুক্ত ভারত। আর বিজেপির সেই লক্ষ্য পূরণ করতে তিনি সাহায্য করছেন। বিরোধী ঐক্যকে নষ্ট করতে চাইছে তৃণমূল।’