ওয়েব ডেস্ক: পার্টি অফিসে বসে নিতি কথা বললে দল চলবে না। চলবে না নিচতলার নেতা-কর্মীদের উপর খবরদারি। তার বদলে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিসে গিয়ে তাদের সমস্যাই তাদের পাশে থাকতে হবে। দলকে ফের ঘুরে দাঁড় করাতে এবার এমনই নিদান দিল আলিমুদ্দিন। পার্টির সর্বস্তরের নেতা,কর্মীদের এবার এমনি নির্দেশ দিল CPIM।
গরিব খেটে খাও মানুষজন ছিল এতদিন দলের সম্পদ। তাঁরাই আজ CPIM থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। বারবার বলা সত্যেও পিছিয়ে পড়া এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা দেখিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। দু-চারজন দায়িত্ব নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করলেও সিংহভাগ নেতাই পার্টি অফিসে বসে রিপোর্ট তৈরি করেন। কাজের মূল্যায়ন হয় জেলা দপ্তরে বসে। যে যত বড় কমিটিতে, তাঁর পারফরম্যান্স ততই ভাল। দিনের পর দিন এমন রিপোর্টি হাতে পেয়ে নড়েচড়ে বসে অলিমুদ্দিন।
রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট অটুট, এবার বার্তা দিয়ে স্পষ্ট করলেন অধীর
সংগঠন সম্পর্কিত পর্যালোচনায় বৈঠকে বলা হয়েছে, জেলা নেতৃত্বকে বাধ্যতামূলকভাবে মাসে একদিন গরিব, আদিবাসী বা বস্তি এলাকায় গিয়ে রাত কাটাতে হবে। সেখানকার মানুষের মনের কথা তুলে এনে পার্টির কাছে রিপোর্টিং করতে হবে। কারা যাচ্ছেন আর কারা ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন সেদিকে কড়া নজর রাখবেন নেতারা।
তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে রাজ্যে ফের বাড়ল বিধি-নিষেধ, সেপ্টেম্বরেও চালু হচ্ছে না লোকাল ট্রেন
এরিয়া ও শাখা কমিটির নিষ্ক্রিয় সম্পাদকদের পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কোন কমিটি নিষ্ক্রিয়, তার তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। যত বেশি সম্ভব কমবয়সী কর্মীদের নিয়ে কমিটি পুনর্নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছে। ৩০ বছরের কম কর্মীদের আরও বেশি কমিটিতে স্থান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আলিমুদ্দিন। সিপিএম রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানান, পার্টি সদস্যদের মধ্যে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া হলেও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তা হয়নি। ভোটবাক্সে হাতেনাতে তার ফল পাওয়া গিয়েছে। তাই এবার পার্টির কমিটি ভেঙে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুদ্ধিকরণ হবে বলে মনে করছে দল।