ওয়েব ডেস্ক: নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস দেখিয়ে ছিলেন তিনি, সেখান থেকেই পরিচয় ঘটে মানুষের সাথে। এমনকি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ভোটবাক্সে তার প্রতিফলন তুলে আনতে পারেননি তিনি। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটে পরাজয়ের পরেও হতাশ হননি, বরং আরও লড়াকু মেজাজে তাকে নন্দিগ্রামের মানুষের পাশে দেখা-গিয়েছিল ভোটে হারার পরেও। তিনি এর কেও না CPIM এর যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
আজ তার নাম আবারও একবার চর্চাই উঠে এলো, কাড়ন তিনি সিপিআইএমের যুব সংগঠনের নতুন রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন। নতুন প্রজন্ম কে কাছে টানতে আগামী ছাড় বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাকেই প্রচারের মুখ করে এগতে চাইছে CPIM । সেইজন্যই তার দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হল বলে মনেকরছে রাজনৈতিক মহল। পুজোর পর সব কেন্দ্রে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় দলীয় সূত্রে এমনি খবর।
চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে একলা চলার বার্তা দিলেন বিমান বসু
এদিকে যুব সংগঠন DYFI এর ৫০ বছরের রাজনৈতিক যাত্রাপথে রাজ্য সম্পাদক পদে মহিলা মুখ এই প্রথম। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তখন মীনাক্ষী যুব সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী পদে ছিলেন। রায়গঞ্জে ডিওয়াইএফআইয়ের ১৯তম রাজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানেই পশ্চিম বর্ধমানের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শান্তিপুর কেন্দ্রে CPIM এর বাজি এলাকার পরিচিত নেতা সৌমেন মাহাত
যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের ধ্রুবজ্যোতি সাহাকে। যুবদের মুখপত্রের দায়িত্বে রয়েছেন কলতান দাশগুপ্তই। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অপূর্ব প্রামাণিক। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর ২৫ জনের মধ্যে নতুন মুখ ১৪ জন। এবার যে রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে, সেখানেও ৬০ শতাংশের বেশি নতুন মুখ।