ওয়েব ডেস্ক: সুধু সরকারি দফতরে গিয়ে বিক্ষভ দেখিয়ে দাবি পত্র জমা দিয়ে চলে আসলে চলবে না। দাবি আদাই না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার ধর্না-অবস্থান চালিয়ে যেতে হবে। এই দিন সিপিএম এর দলিও মুখপত্র গণশক্তির ৫৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে এমনি বার্তা দিলো বঙ্গ সিপিএম। দিল্লির সীমানায় এক বছর ধরে অবস্থান করে যে ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করেছে কৃষকদের যৌথ মঞ্চ, সেই উদাহরণই এবার সামনে রাখছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
সোমবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বললেন, ‘‘কৃষকদের আন্দোলন অনেক বড় দাবি নিয়ে ছিল। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে নেমেছিলেন তাঁরা। দিল্লিতে এক বছর ধরে বসে থেকে কেন্দ্রের সরকারকে তাঁরা যদি দাবি মানতে বাধ্য করাতে পারেন, তা হলে ব্লক, পুরসভা বা পঞ্চায়েত স্তরে ছোট ছোট দাবি আমরা আদায় করতে পারব না কেন? বিভিন্ন স্তরে দাবি আদায়ের জন্য আমাদের বসে থাকতে হবে, অবস্থান চালাতে হবে।’’ সাথে তিনি বললেন, কলকাতার পুরভোটে আমাদের ফল আগের তুলনায় একটু ভাল হয়েছে মানে এই নয় যে, বিজেপি একেবারে শক্তিহীন হয়ে পড়েছে। রাজ্যে বিজেপি এখনও দ্বিতীয় শক্তি। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও তীব্র লড়াই চলবে।
সূর্য মিশ্র আরও বললেন, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে বামেদের কয়েকটি নবান্ন অভিযান হয়েছে। তাতে পুলিশের আক্রমণ হয়েছে, বাম কর্মী-সমর্থক ‘শহিদ’ও হয়েছেন। কিন্তু দাবি আদায় হয়নি। জেলা বা আরও স্থানীয় স্তরে ব্লক, পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে। এ বার সেই ধরনের কর্মসূচিকেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধারালো করার ডাক দিয়েছেন সূর্যবাবু।
করনাকালে বিধিনিষেধের মধ্যেই নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী বাংলায় পৌরনিরবাচন, জানালো কমিশন
রাজ্যে করনার বাড়বাড়ন্তের বিরুদ্ধে রাজ্য কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে, সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সূর্য বাবুর মন্তব্যই, ‘‘এ রাজ্যে পানশালা খোলা থাকে আর পাঠশালা বারেবারে বন্ধ হয়!’’ রাজ্য ভোট প্রসঙ্গে বিমান বাবুর বক্তব্য, ‘‘জানি না, এই পরিস্থিতিতে বাকি পুরভোট হবে কি না। যদি হয়, তা হলে কলকাতায় যে ভাবে জালিয়াতি, ভোট লুঠ হয়েছে, মাটি কামড়ে তার প্রতিরোধ করতে হবে। এক জন এসে ১০ জন মৃত ভোটারের ভোট দিয়ে যাবে— এটা হতে দেওয়া যাবে না!’’