ওয়েব ডেস্ক: পুলিশের পরিচয় দিয়ে পথচলতি সাধারণ মানুষদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিতে। ধৃতের নাম মানস সরকার। বাড়ি দমদম এলাকায়।
শনিবার দুপুরে কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম এবং লেডি ডাফরিন রোডের সংযোগস্থলে সিভিক ভলেন্টিয়ার-এর পোশাক পরে এক ব্যক্তির সে কি হম্বিতম্বি! মাস্ক ঠিকমতো না পরা বা মাস্ক না থাকলেই জরিমানা আপনাকে দিতেই হবে। পথচারীদের কেউ যদি মাস্ক না পরে থাকেন তবে প্রথমে তাঁকে আটক করার হুমকি, পরে কাউকে হাজার টাকা, কাউকে আবার ৫০০ টাকা জরিমানা করার কথা বলছেন। এরপর দর কষাকষি করে কারোর থেকে ১০০ টাকা, কারোর থেকে ২০০, কারোর থেকে আবার ৫০০ টাকাও নিচ্ছে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার-এর পোশাক পরিহিত ওই ব্যক্তি।
বেশ কিছুক্ষণ এইভাবেই চলছিল। এরইমধ্যে খবর যায়, সাউথ ট্রাফিক গার্ডে। সেখানে কর্তব্যরত এক সার্জেন্ট দ্রুত ওই এলাকায় আসেন। মানস সরকারের পরিচয় জানতে চান ওই সার্জেন্ট। তিনি যে পুলিশ কর্মী, তার কোনও প্রমাণ আছে কিনা দেখতে চাওয়া হয়, কেন পথচলতি মানুষদের থেকে টাকা তোলা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু, কোনও প্রশ্নেরই ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেনি মানস সরকার। বেশ কিছু অসংলগ্ন উত্তরও দিচ্ছিল ওই ব্যক্তি। আর এরপরেই তাকে আটক করেন সাউথ ট্রাফিক গার্ডের ওই সার্জেন্ট।
দমদমে খোলা ম্যানহোলে পড়ে প্রাণ হারালেন অটোচালক
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যায়, তিনি আদৌ পুলিশ তো দূর অস্ত, সিভিক ভলেন্টিয়ারও নয়। তার নাম মানস সরকার, ২৮ বছর বয়স, দমদমে বাড়ি। এর পরই তাঁকে ময়দান থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। ময়দান থানার পুলিশ কর্মীরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি ভুয়া পুলিশ কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও মাস্ক না পরা ব্যক্তিদের যেভাবে আটকাচ্ছিল তা খুবই ভাল, কিন্তু টাকা আদায় করা এবং নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেওয়া অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ।
এবার মেট্রো যাত্রা আরও মহার্ঘ, বাড়ল স্মার্ট কার্ড কেনার খরচ
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তি কতদিন ধরে এইভাবে মানুষকে প্রতারিত করে টাকা তুলছিল, তার সঙ্গে আর কেউ কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, কতজন ব্যক্তিকে প্রতারিত করেছে ওই ব্যক্তি, সেই সব উত্তর খুঁজছে পুলিশ।