ওয়েব ডেস্ক: নিজেদের মধ্যে মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হলেন হবু ডাক্তাররা। শহরের প্রথম সারির সরকারি হাসপাতালের এমন ঘটনায় হতবাক চিকিৎসক সমাজ। এই ঘটনা ঘটেছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই মারামারির জেরে কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাতে চোট লেগেছে বলে খবর।
ঠিক কি ঘটেছে আরজি কর হাসপাতালে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে পরীক্ষা ছিল। অভিযোগ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই একদল চিকিৎসক ছাত্র তাঁদেরই সহপাঠীদের উপরে চড়াও হন। চারজন জুনিয়র চিকিৎসক গুরুতর জখম হয়েছেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন, এই চিকিৎসক পড়ুয়াদের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনও একটি ইস্যু নিয়ে মতান্তর হয়। আর তা থেকেই মারামারি।
কেন এই মারামারি হল? সূত্রের খবর, এখানে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। পাঁচ মাস আগে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে এখানে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনের পক্ষে–বিপক্ষে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে যায় দুটি গোষ্ঠী। এই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যেই মারামারি হয়েছে। যারা অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পক্ষে ছিল তারাই বিপক্ষের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।
মধ্যবিত্তের হেঁসেলে আগুন, আবারও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল সিলিন্ডার প্রতি ৫০ টাকা
অভিযোগ, শুক্রবার আন্দোলনের অন্যতম মুখ এক ইন্টার্ন মৈনাক রায়কে মারধর করেন অধ্যক্ষের পক্ষে থাকা ডাক্তারি পড়ুয়ারা। প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে পোস্টার পড়ে। এমনকি রাতেই ফের হামলার অভিযোগ ওঠে। জুনিয়র চিকিৎসক অভিষেক রায়ের অভিযোগ, ‘শনিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় একদল গিয়ে সিনিয়র অর্থো-পিজিডিকে ঘেরাও করেন। মারধরের হুমকি দেন। গালিগালাজ করেন। এমনকি হস্টেলের বাইরে গেলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেওয়া হবে বলা হয়।’
মুখের দুর্গন্ধ গন্ধ নিমেষে কমাতে ব্যবহার করুন এই ৫ প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার
এই ঘটনা নিয়ে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় বলেন, “চন্দ্রমৌলি ঝাঁ একজন ইন্টার্ন ডাক্তার। সে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমি জানতে গিয়েছিলাম প্রকৃত কি ঘটেছে। যেখানে মারধর করা হয় সেখানেও গিয়েছিলাম। দু’জন ডাক্তারবাবুর গাড়িও ভেঙে দিয়েছে।” শুধু জুনিয়র ডাক্তাররাই নন, কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে। শনিবারের গোলমালের আঁচ সোমবারও কীভাবে ছড়াল? হাসপাতালের পরিস্থিতি কেন বারবার এমন হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।