ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় JU ছাত্রের মৃত্যুর জন্য CPI(M) কে নিশানা করেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা অপপ্রচার করছেন।
এই মামলায় পুলিশ যে ছাত্রদের গ্রেপ্তার করেছে, তাদের মধ্যে কারা CPI(M) বা SFI-এর। তিনি বলেছিলেন যে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে তিনি CPI(M) এর নাম নিচ্ছেন। এমনকি জ্ঞানেশ্বরী ঘটনার সময়ও দোষ চাপানো হয়েছিল সিপিএমের ওপর। তার বোঝা উচিত তিনি আর বিরোধী দলের নেত্রী নন, আর কবে প্রশাসক হবেন?
প্রসঙ্গত নেতাজি ইনডোরে ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সম্মেলন থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘সিপিএমের ইউনিয়ন যাদবপুরের ছেলেটাকে মেরে দিল!’’ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতাকে এরই পাল্টা জবাব দিতে চাইলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
আরও পড়ুন :পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে তৃণমূল, বিজেপি-কে সমর্থন, CPIM থেকে বহিষ্কৃত ৮, ২২৩ কর্মীকে শোকজ
২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতি বছরের মতো এ বারও মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সমাবেশ করবে শাসদকদলের ছাত্র সংগঠন। সিপিএমের অনুমান, ওই দিন ছাত্র সংগঠনের মঞ্চ থেকে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে আর এক দফা তাঁদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে পারেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। সেটা এই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা আছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।
সেই আন্দাজ করেই সিপিএমের ছাত্র সংগঠন পাল্টা সভার আয়োজন করেছে। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ অগাস্ট যাদবপুর এইট বি-তে সভা ডেকেছে এসএফআই। আর এসএফআইয়ের সভায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটব্যুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বক্তৃতা দেবেন। আর এই তিন নেতাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।