ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য বিধিনিষেধের কড়াকড়িতে প্রায় দেড় মাস বন্ধ ছিল গণপরিবহণ। ১ জুলাই থেকে পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ফের সরকারি ও বেসরকারি বাস চালুর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি বাস চলছে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি রুট বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত রাস্তায় কার্যত দেখা নেই বেসরকারি বাসের। কিন্তু কেন? বাস মালিকদের দাবি, পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। ভাড়া না বাড়ালে বাস নামানো সম্ভব নয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নিত্য যাত্রীদের।
পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের করা বার্তা, ‘আগে রাস্তায় বাস নামান। ভাড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। যখন কড়া বার্তা দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী, তখন উলটো সুর চড়ালেন বাস মালিকরাও। তাঁদের দাবি, ‘যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিতে চাইছেন। বাস পেয়ে পরিত্রাণ পেতে চাইছেন। অথচ রাজ্য সরকার অনুমোদন দিচ্ছে না’! ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকে জট কাটল না।
‘পশ্চিমবঙ্গের মত গোটা দেশেই বিজেপি-কে রুখবেন মমতা’, বললেন প্রণব পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের
এদিন বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শেষপর্যন্ত কি তাহলে ভাড়া বাড়ছে? বৈঠকে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, জনস্বার্থে আগে রাস্তায় বাস নামবে, তারপর ভাড়া বৃদ্ধির দাবি বিবেচনা করা হবে। যাত্রীদের দুর্ভোগের দায় সরকারের উপর চাপিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলেন বাস মালিকরাও। জানিয়ে দিলেন, ‘যারা বাস নামাতে চাইবেন, তাঁরা নামাবেন। যারা চাইবেন না, তাঁরা নামাবেন না’। আগামী দিনে কি হই সেই দিকেই নজর রাখছে নিত্য যাত্রীরা।