শীতকাল শুরু হয়ে গেছে। এই ঋতুতে সর্দি-কাশির ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীর গরম রাখার জন্য গরম খাবার খাওয়া হয়। তবে, কিছু লোক অজান্তেই তাদের খাদ্যতালিকায় ঠাণ্ডা খাবার অন্তর্ভুক্ত করে। এই খাবারগুলি খেলে সর্দি-কাশির ঝুঁকি বেড়ে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক আপনার শীতের খাদ্যতালিকায় এড়ানোর জন্য সেরা খাবারগুলি কি কি।
দইয়ের ঠাণ্ডা প্রভাব রয়েছে। তাই, যদি আপনি শীতকালে দই খান, তাহলে এটি খাওয়া বন্ধ করুন। ঠান্ডায় দই খেলে শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতে, বিশেষ করে রাতে দই খেলে গলা ব্যথা এবং নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
নারকেল জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়, তবে গ্রীষ্মকালে এটি পান করা বিশেষভাবে উপকারী। শীতকালে অতিরিক্ত নারকেল জল পান করলে শরীর আরও ঠাণ্ডা হতে পারে, সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়ায়।
কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। তবে, এর ঠাণ্ডা প্রকৃতির কারণে শীতকালে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কলা খাওয়া, বিশেষ করে রাতে, শ্লেষ্মা এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন : সর্দি-কাশির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেছে। এর কারণ এবং সমাধান সম্পর্কে জানুন।
স্প্রাউট একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। সকলেই আপনার খাদ্যতালিকায় এগুলি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। তবে শীতকালে স্প্রাউট সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। ভাপ ছাড়া বা কাঁচা স্প্রাউট খেলে পেট ফাঁপা এবং ঠাণ্ডা লাগা হতে পারে।
ভাতেরও ঠাণ্ডা প্রকৃতি রয়েছে, তাই শীতকালে ভাত খাওয়া ইতিমধ্যেই একটি ভাল ধারণা। তাছাড়া, ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা ভাত খেলে সমস্যা হতে পারে। এটি হজমশক্তি দুর্বল করতে পারে এবং ঠাণ্ডা লাগার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
