ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পেশী শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও অপরিহার্য। শরীরে অভাব অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি শিশুরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি না পায় এবং এই ঘাটতি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে এটি রিকেটস নামক রোগের কারণ হতে পারে। অতএব, শরীরে ভিটামিন ডি-এর পর্যাপ্ত মাত্রা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি আজকাল খুবই সাধারণ এবং শহরাঞ্চলে এটি বেশি দেখা যায়। অতএব, অভাবের মূল কারণ চিহ্নিত করা এবং সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক কেন শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয় এবং কীভাবে এটি সংশোধন করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞের মতামত
অ্যাপোলো স্পেকট্রা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডঃ রোহিত শর্মা ব্যাখ্যা করেছেন যে ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। এটি হাড়কে শক্তিশালী করতে, সুস্থ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং পেশীর সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা, ঘরের ভিতরে বেশি সময় ব্যয় করা (যেমন সকাল এবং বিকেলের অফিস সময়), এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়ার কারণে ঘাটতি হতে পারে।
আরও পড়ুন : হিটার দিয়ে ঘুমালে ফুসফুসে কি প্রভাব পড়ে? পালমোনোলজিস্ট এর কাছ থেকে জেনেনিন
স্থূলতা এবং কিছু ওষুধও শরীরের ভিটামিন ডি শোষণের ক্ষমতা হ্রাস করে। তদুপরি, লিভার, কিডনি এবং কিছু চিকিৎসাগত অবস্থার কারণে ভিটামিন ডি-এর অভাব হতে পারে। বয়সের সাথে সাথে অন্ত্র থেকে ভিটামিন ডি শোষণও হ্রাস পেতে পারে। এটি সংশোধন করার জন্য, প্রথমে একটি সুষম খাদ্য খান, কারণ ডিম, দুধ, পনির, মাছ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস। এছাড়াও, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু করে হালকা রোদে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় কাটান। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের জন্য আপনি একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
ভিটামিন ডি-এর অভাব ক্লান্তি, কম শক্তির মাত্রা, হাড় এবং পেশীর সমস্যা বা ব্যথার কারণ হতে পারে। এই সমস্যা দিন দিন আরও খারাপ হতে পারে, যা সম্ভাব্য গুরুতর জটিলতার দিকে পরিচালিত করে। অতএব, বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়সূচী নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার ফলে মেজাজের পরিবর্তন এবং বিষণ্ণতার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
