Table of Contents
আজকের ডিজিটাল যুগে, তরুণরা সারাদিন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাটায়। পড়াশোনা, কাজ এবং বিনোদনের জন্য স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধি তাদের দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, ক্যারিয়ারের চাপ, সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিযোগিতা এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চাপ মানসিক ক্লান্তি বাড়িয়ে তুলছে। দীর্ঘ সময় ধরে চোখ স্ক্রিনে আটকে থাকলে মন ক্রমাগত সক্রিয় থাকে এবং বিশ্রাম নিতে অক্ষম থাকে। তরুণদের মধ্যে এই অবস্থা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উভয়ের উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং স্ট্রেস সরাসরি মস্তিষ্ক, চোখ এবং ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত স্ক্রিনের দিকে তাকালে শুষ্কতা, জ্বালা এবং ঝাপসা দৃষ্টি হতে পারে। মানসিক চাপ মাইগ্রেনের আক্রমণ, ঘাড়ে ব্যথা, বিরক্তি এবং একাগ্রতার অভাবের ঝুঁকিও বাড়ায়। ঘুমের অভাব শরীরকে বিশ্রাম নিতে বাধা দেয়, যার ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যদি এই অবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে এটি বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতার মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। ঘুমের অভাব কখনও কখনও একজন ব্যক্তির আচরণ পরিবর্তন করতে পারে, যার ফলে তার আত্মবিশ্বাস এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই, এই লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
স্ক্রিন টাইম এবং স্ট্রেসের সংমিশ্রণ কীভাবে এড়ানো যায়?
জিবি পান্ত হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ডাঃ দলজিৎ সিং সারাদিন স্ক্রিন টাইম সীমিত করার পরামর্শ দেন। চোখের বিশ্রামের জন্য প্রতি ৩০ মিনিটে ৫ মিনিটের বিরতি নিন। মনকে শান্ত করার জন্য ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে আপনার মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকুন। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ধ্যান বা যোগব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করা মানসিক চাপ কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং আপনার শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় তা নিশ্চিত করার জন্য সঠিক ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখুন।
আরও পড়ুন : ২০ বছর বয়সের পর মহিলাদের নিয়মিত এই পরীক্ষাগুলি করা উচিত
মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা ঘন ঘন হলে, একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। মানসিক চাপ উপেক্ষা করার পরিবর্তে, পরিবার বা বন্ধুদের সাথে কথা বলুন। এছাড়াও, ডিজিটাল ডিটক্স উইকএন্ডের কথা বিবেচনা করুন – এমন একটি সময় যখন আপনি নিজেকে মানসিক বিশ্রাম দেওয়ার জন্য আপনার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে রাখেন, যা শিথিলকরণ এবং মনোযোগ উভয়ই উন্নত করে।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ:
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
- কাজ বা পড়াশোনার বিরতির মধ্যে চোখকে আরামদায়ক করার জন্য ব্যায়াম করুন।
- সারা দিন প্রচুর জল পান করুন এবং সুষম খাবার খান।
- ঘুমের সময় আপনার মোবাইল ফোন দূরে রাখুন এবং ঘরের আলো নিভিয়ে রাখুন।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় ব্যয় করা সীমিত করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি কেবল তথ্যবহুল এবং চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়।
