ওয়েব ডেস্ক: টিকা তুমি কার, রাজ্যের না কেন্দ্রের। টিকার শংসাপত্রে ছবি নিয়ে টানাটানিতে এইবার এই প্রশ্নই উঠে আসছে মানুষের মনে। কো-উইন পোর্টাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া শংসাপত্র দেওয়া হয়। এবার রাজ্যের তরফে আলাদা ভাবে শংসাপত্র দেওয়া হবে এবং তাতে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, যে টিকাগ্রহীতাদর বয়স ১৮-৪৪, তাঁদের শংসাপত্র মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও বার্তা থাকবে। টিকা নেওয়ার পর তাঁদের ফোনে স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি মেসেজ পাঠানো হবে। তাতে থাকবে একটি লিঙ্ক। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই রাজ্যের শংসাপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
তবে কেন্দ্র ও রাজ্যের শংসাপত্রের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। কীরকম? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কেন্দ্রের শংসাপত্রে টিকাগ্রহীতার একটি ‘ইউনিক’ নম্বর দেওয়া হয়। যা রাজ্যের শংসাপত্রে রাখা হচ্ছে না। তবে দ্বিতীয় ডোজ কবে দেওয়া হবে, তা রাজ্যের শংসাপত্র থাকছে না। যা কেন্দ্রের শংসাপত্রে থাকে। রাজ্যের শংসাপত্রে টিকাগ্রহীতার নাম, ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ, পরিচয়পত্রের বিবরণ, টিকার প্রথম ডোজের তারিখ, টিকাকরণের স্থান লেখা থাকবে। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও বাংলা-ইংরেজিতে বার্তা থাকবে। বাংলায় লেখা থাকবে, ‘সজাগ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।’ ইংরেজিতে লেখা থাকবে, ‘বি অ্যালার্ট, বি সেফ।’
উপনির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী নয়, সিদ্ধান্ত ঘোষণা অধীর চৌধুরীর
কিন্তু টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি থাকা নিয়ে একটা সময় প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, টিকার ক্ষেত্রেও প্রচার করতে চাইছে মোদী সরকার। পরে ভোটের জন্য বাংলার টিকাগ্রহীতাদের শংসাপত্র থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। পরে আবারও ফিরে আসে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হচ্ছে কেন? সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ১৮-৪৪ বছরের টিকাকরণের জন্য টিকার ডোজ কিনছে রাজ্য। সেই খাতে ১৫০ কোটির টাকার মতো খরচও হয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্যের শংসাপত্র মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিলে আপত্তির কী আছে?
রাজ্যে আসতে চলেছে Sputnik V, টিকা মিলবে আগামী সোমবার থেকে
তবে অনেকের দাবি করোনার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা নিয়ে অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন। অনেকেরই মত, প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্য মন্ত্রীদের ছবি নয়, করোনা টিকার শংসাপত্রে কারোর ছবি যদি দিতেই হয়, তবে দেওয়া হোক সেইসব জ্ঞানী-গবেষকদের ছবি, যারা এই টিকাগুলি আবিষ্কার করেছেন।