ওয়েব ডেস্ক: কিন্তু পুলিশকে বোকা বানানো কি অতো সহজ! ১১ লাখ টাকার লোভে ‘ভুয়ো অপহরণ’-এর পরিকল্পনা করেছিল শিলিগুড়ির এক যুবক। তার সেই পরিকল্পনা সফলও হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ফলে গ্রেফতার হয়ে এখন পুলিশ হেফাজতে অপহৃত যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পরিতোষ রায়। ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ একটি ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী। সেই সংস্থারই ১১ লাখ টাকা হাতাতে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে পরিকল্পনা করে নিজে থেকেই অপহৃত হয়েছিল পরিতোষ। পরে পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সে। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে। পরিতোষের এই কাজের সহযোগী আশিস বিশ্বাস, শ্যামল রায় ও সঞ্জয় মোদক নামে আরও ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ লাখ টাকাও।
সঙ্গীদের সাথে একেবারে সিনেমার কায়দায় অপহরণের ছক সাজায় পরিতোষ। তার পরিকল্পনা মাফিক মঙ্গলবার দুপুরে ওই যুবকেরা টাকা সহ পরিতোষকে রাস্তা থেকে অপহরণের নাটক করে। তারপর NJP থানায় ফোন করে পরিতোষকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবারের এক সদস্য। এরপর NJP থানার পুলিশ বুধবারই ক্রান্তি এলাকা থেকে পরিতোষকে উদ্ধার করে। পূর্ব পরিকল্পনা মতো সে পুলিশকে জানায়, টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। ওই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল পরিতোষ ও তার সঙ্গীদের।
মোদী সরকার কোভিড ভ্যাক্সিনেশন পরিসংখ্যানে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: অধীর
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জেনে যায়, আশিস বিশ্বাস,শ্যামল রায় ও সঞ্জয় মোদক নামে তিন যুবক পরিতোষকে অপহরণ করেছিল। বুধবার রাতেই রাজগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জেরা শুরু করলেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসে। পরিতোষের পরিকল্পনার কথা জানায় তারা।
হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম, এবার বাজারে গিয়ে হানা দিলেন ইবি’র আধিকারিকরা
পুলিশ পরিতোষকে চেপে ধরতেই অপহরণের নাটকের কথা স্বীকার করে সে জানায়, সংস্থার টাকা হাতাতে সে এই অপহরণের ছক কষেছিল। এরপর শুক্রবারই পরিতোষকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন। লুঠ হওয়া টাকারও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন NJP থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।