ওয়েব ডেস্ক: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ঢুকে পড়েছিল রুশ সেনা। দেখতে দেখতে ১ মাস পূর্ণ হয়েছে যুদ্ধের। কিন্তু আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি রাশিয়ার। হাজার সৈনিক যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধে ইতি টানতে রাশিয়ার তরফেই উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে এ বার দাবি ইউক্রেনের। তাদের দাবি, ৯ মে-র মধ্যে যুদ্ধে সমাপ্তি চায় রাশিয়া।
কিন্তু কেন ৯ মে? আসলে ওইদিনই নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করেছিল ইউক্রেন। সেই বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করে তারা। সেই ইতিহাসের মাইলফলককে মাথায় রেখেই তার মধ্যেই এবারের যুদ্ধও শেষ করতে চান পুতিন।
কিয়েভের ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দপ্তর জানতে পেরেছে রুশ সেনাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধ শেষ করতেই হবে ওই তারিখের মধ্যে। আসলে বরাবরই ইউক্রেন হামলাকে ‘নব্য নাৎসি’মুক্ত করার প্রকল্প হিসেবে প্রচার দেখা গিয়েছে পুতিনকে। সেই হিসেবে তিনি ইউক্রেন প্রশাসনকে নাৎসিদের সঙ্গেই তুলনা করেছেন। এই যুদ্ধকে আরও একবার নাৎসিদের হারানোর লক্ষ্য বলেই বোঝাতে চেয়েছেন।
রুশ আগ্রাসনের মধ্যে ইউক্রেনকে আরও হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র দেবে ব্রিটেন
গত ২৪ মে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পর থেকে গত একমাস ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী গোটা বিশ্ব। হাজার হাজার মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির কোনও ইয়ত্তাই নেই। একই সঙ্গে এই যুদ্ধের ফলে গোটা ইউরোপ জুড়ে দেখা দিয়েছে শরণার্থী সঙ্কট।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে দুই দেশের মধ্যেই লাগাতার আলোচনা চলছে। কিন্তু বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের মাটি থেকে পিছু হটার কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না রাশিয়া। বরং ইউক্রেনের বুকে গোলা-গুলি, বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে তারা। প্রায় ৮০ হাজার শিশু-সহ ৪ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিককে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে রুশ সেনার বিরুদ্ধে।
রাশিয়া নিয়ে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র, জানালেন বাইডেন
মুখে পুতিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিলেও সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফৌজ পাঠাতে অস্বীকার করে আমেরিকা ও ন্যাটো। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। অর্থাৎ ময়দানে জেলেনস্কিকে একাই বিশাল রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর ইউক্রেনের সেনার জন্য পরিস্থিতি যে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট।