ওয়েব ডেস্ক: নন্দীগ্রাম মামলায় নয়া মোড়। নতুন বিচারপতির এজলাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে নন্দীগ্রাম মামলা আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এ বার সেই মামলা গেল হাইকোর্টের অন্য বিচারপতির বেঞ্চে।
সূত্রের খবর, শম্পা সরকারের বেঞ্চে এই মামলা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফলে অবশেষে এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালই মামলাটি বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে পাঠিয়েছেন।
কলকাতা হাই কোর্টের মাস্টার অফ রসটার হলেন আদালতের প্রধান বিচারপতি। অর্থাৎ তিনিই ঠিক করেন কোন বিচারপতি কোন মামলার শুনানি করবেন। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম মামলার বেঞ্চ বদল করা হল সোমবার। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের নয়া বেঞ্চে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি হতে পারে।
নন্দীগ্রাম মামলাটিও সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারে, মাঝে অবশ্য এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো শীর্ষ আদালতে যেতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়। যদিও সেই জল দিল্লি পর্যন্ত গড়ানোর আগেই মামলাটির স্থানান্তর অন্য বেঞ্চে হয়ে গেল। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারপতি কোনও মামলা ছেড়ে দিলে সংশ্লিষ্ট মামলাটি কে শুনবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার থাকে প্রধান বিচারপতির। সেই মতো এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, পরবর্তী সময় বিচারপতি শম্পা সরকারই নন্দীগ্রাম মামলাটি শুনবেন। যদিও কবে থেকে শম্পা সরকারের বেঞ্চ মামলাটির শুনানি হবে তা এখনও জানা যায়নি।
LIC-র বিলগ্নিকরণের পথে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিধানসভা ভোটে গণনার শুরু থেকে নন্দীগ্রামে এগিয়ে ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। পরে কয়েকটি রাউন্ডে এগিয়ে যান মমতাও। শেষের দিকে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি টক্কর হয়। ষোড়শ রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন মমতা। প্রাথমিকভাবে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, ১,২০০ ভোট জিতেছেন মমতা। কিন্তু পরে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, শুভেন্দু জিতেছেন। তা নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কয়েকটি মহল থেকে দাবি করা হয়, ১,৯৫৩ ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে জিতেছেন শুভেন্দু। মধ্যরাতের কাছাকাছি নির্বাচন কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছেন মমতা। তারপরই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার আর্জি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কমিশন।
‘তৃতীয় ঢেউ আসছেই! আছড়ে পড়বে খুব শীঘ্রই’, সতর্কবাণী IMA-র
কিন্তু সরকার গঠনের পরেই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি তুলে হাইকোর্টে আবেদন করেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা যায় বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু আইনজীবী থাকাকালীন বিজেপির হয়ে একাধিক মামলা লড়ায় বিচারপতি চন্দের বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা। সেই আর্জি অবশ্য ধোপে টেকেনি। বিচারপতি চন্দের বেঞ্চেই মামলা রেখে দেওয়া হয়। পরে নিজে থেকেই মামলা থেকে সরে যান বিচারপতি চন্দ।
