ওয়েব ডেস্ক: চুঁচুড়ার কাপাসডাঙা এলাকার বাসিন্দা আশিক বর্মন ও দিপালী বর্মন। দম্পতির দুই মেয়ে। তার মধ্যে বড় মেয়ে নির্জ্জ্বলা বর্মন। কাপাসডাঙা সতীন সেন বিদ্যাপীঠের মাধ্যমিকের ছাত্রী নির্জ্জ্বলা। আশিক বাবু বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করেন। অন্যদিকে দিপালীদেবী পরিচারিকার কাজ করেন। নিম্নবিত্ত সংসারে অভাবের ছাপ স্পষ্ট। প্রতিদিন সকাল হলেই কাজে বেরিয়ে যান বর্মন দম্পতি। মঙ্গলবার সকালেও রোজের মত বাবা-মা দুজনেই কাজে বেরিয়ে যান।
মা কে বলে গিয়েছিল, “বন্ধুর বাড়িতে সাজেশন আনতে যাচ্ছি।” কিন্তু সেই বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার পথেই নিখোঁজ মাধ্যমিকের ছাত্রী। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলীর কাপাসডাঙায়। নিখোঁজ ওই ছাত্রীর নাম নির্জ্জ্বলা বর্মন।
বাবা, মা বেরিয়ে যাওয়ার পরই নির্জ্জ্বলা সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ দিপালীদেবীকে জানায় যে, সে বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছে। বন্ধুর বাড়ি থেকে সাজেশন আনবে। তারপর স্কুলে যাবে টেস্ট পরীক্ষা দিতে। মাকে একথা জানিয়েই বাড়ি থেকে বের হয় নির্জ্জ্বলা। কিন্তু তারপর দুদিন পেরিয়ে গেলেও আর ঘরে ফেরেনি ওই ছাত্রী। এদিকে পরীক্ষাতেও অনুপস্থিত থাকে নির্জ্জ্বলা। টেস্ট পরীক্ষায় নির্জ্জ্বলাকে উপস্থিত দেখেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। তারপর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাতেই বুধবার রাতে চুঁচুড়া থানায় এফআইআর দায়ের করে পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ছাত্রীর কোনও খোঁজ নেই।
বড়দিনের আগে কলকাতায় উদ্ধার বিপুল বিস্ফোরক, অস্ত্র-সহ গ্রেফতার ২
