Table of Contents
ঘি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঘি আমাদের স্বাস্থ্য এবং ত্বক উভয়ের জন্যই উপকারী। ঘিতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। দেশি ঘিতে ভেজাল চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বাড়িতে তৈরি ঘি খাওয়া বেশি উপকারী বলে মনে করা হয় তবে সবার পক্ষে এটি করা সম্ভব নাও হতে পারে কারণ ঘি তোলা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তো চলুন, বাজারের আসল ও নকল ঘি এর পার্থক্য জেনে নেওয়া যাক এবং স্বাস্থ্যকর ঘি বেছে নিন এবং খান। এই ৫টি উপায়ে জেনে নিন আসল ও নকল ঘির পার্থক্য।
এই ৩টি উপায়ে আসল ও নকল ঘি চিনুন
রঙ পরীক্ষা
ঘি এর রঙ দ্বারা চিহ্নিত করা যায়, এর জন্য আপনাকে আলাদা বাটিতে দুই ধরনের ঘি নিতে হবে। যে ঘি হলুদ বর্ণের হয় তা খাঁটি দেশি ঘি, আর যে ঘি সাদা রঙের হয় তা ভেজাল ও ক্ষতিকর দেশি ঘি।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত লবণ খেলে এই ৭টি স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, শরীরে দেখা যায় এই লক্ষণগুলো
জল দিয়ে পরীক্ষা করুন
এর জন্য আপনাকে ২ গ্লাসে হালকা গরম জল নিতে হবে এবং উভয় গ্লাসে আলাদা করে ঘি দিতে হবে। খাঁটি ঘি সহজে জলে গলে যাবে, যেখানে ভেজাল ঘি জলে মিশে যাবে, মানে ঘি নকল। ভেজাল ঘি কখনো জলে সহজে দ্রবীভূত হয় না।
আয়োডিন পরীক্ষা
আয়োডিন পরীক্ষা ঘি সনাক্ত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এতে ২টি আলাদা বাটিতে ২ ধরনের ঘি নিতে হবে। এবার উভয় ঘিতে ২ ফোঁটা আয়োডিন দ্রবণ মিশিয়ে মিশিয়ে নিন। এই আয়োডিন দ্রবণটি খাঁটি ও আসল ঘিতে মিশে যাবে, কিন্তু নকল ও ভেজাল ঘির রং নীল হয়ে যাবে, অর্থাৎ ঘি আসল নয়।
এছাড়া তালুতে ঘি মাখিয়েও পরীক্ষা করতে পারেন। এ জন্য তালুতে এক চামচ ঘি নিয়ে একটু মালিশ করুন। খাঁটি ঘি সহজে গলে যাবে, অন্যদিকে ভেজাল ঘি গলতে বেশি সময় লাগবে।
আরও পড়ুন : খালি পেটে নিম পাতা চিবিয়ে খেলে পাওয়া যাবে এই ৫টি উপকার
ঘি কেনার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
- আপনি যদি প্যাকেটজাত ঘি কিনছেন, তাহলে প্রথমে একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বেছে নিন।
- ঘি প্যাকেটে উত্পাদন এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
- আপনি যদি ঢিলেঢালা ঘি কিনছেন, তাহলে আগে জেনে নিন ঘি গরু না মহিষের।
- আলগা ঘি কিনতে, এর গন্ধ পরীক্ষা করুন এবং আপনি এটি তালুতে ঘষে কৌশল ব্যবহার করে পরীক্ষা করতে পারেন।