Table of Contents
শীতকালে বেশিরভাগ মানুষই কম জল পান করে। ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে মানুষের তৃষ্ণা লাগে না। শীতকালে গলা শুষ্ক হওয়ার সমস্যা হয় না। এছাড়াও, সারাদিন অফিসে এসি-তে বসে থাকার কারণে তারা কম জল পান করে। আজকাল, বেশিরভাগ মানুষ দিনের বেলায় প্রয়োজনের তুলনায় কম জল পান করে। মানুষ এই বিষয়টিকে স্বাভাবিক মনে করে উপেক্ষা করে। কিন্তু জল পান উপেক্ষা করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য জল পান করা অপরিহার্য
পুষ্টিকর খাবারের মতো, শরীর সুস্থ রাখার জন্যও জল অপরিহার্য। শীতকাল হোক বা গ্রীষ্ম, আমাদের কেবল তৃষ্ণা মেটানোর জন্য নয়, সুস্থ থাকার জন্যও জল পান করা উচিত। কারণ শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কার্যকারিতার জন্য জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। তাপমাত্রার ভারসাম্য থেকে শুরু করে হজম, মস্তিষ্কের কার্যকলাপ এবং পেশী শক্তি, সবকিছুই জলের উপর নির্ভর করে। তাই, যদি শরীরের সংকেত সময়মতো না বোঝা যায়, তাহলে জল না খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি হলে এই লক্ষণ দেখা দেয়।
আপনি জলের অভাবের এই সমস্যার শিকার হবেন
জয়েন্টে ব্যথা, পায়ের শিরা এবং পেশীতে টান লাগা জলের অভাবের প্রধান লক্ষণ। এছাড়াও, আপনার প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা হলুদ রঙের দেখায় এবং আপনি ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। শরীরে এই লক্ষণটি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা নির্দেশ করে। এটি একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে আপনি ডিহাইড্রেটেড। হালকা হলুদ প্রস্রাবের রঙ পর্যাপ্ত হাইড্রেশন নির্দেশ করে। জলের অভাব মস্তিষ্কে রক্তএবং অক্সিজেনের প্রবাহ হ্রাস করে। এর ফলে মাথাব্যথা, হালকা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও হঠাৎ করে দাঁড়ালে শরীর ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন : বায়ু দূষণের জন্য কোন মাস্ক সবচেয়ে ভালো এবং কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
ত্বকের উপর প্রভাব দৃশ্যমান
কম জল পান করার অভ্যাস ত্বকেও দেখা যায়। যদি আপনার ত্বক টানটান, শুষ্ক বোধ করে, অথবা আপনার ঠোঁট ঘন ঘন ফাটে, তাহলে এটি বাহ্যিক ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ হতে পারে। শুধু ক্রিম নয়, জল পান করা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কম জল পান করলে শরীর অন্ত্র থেকে বেশি জল টেনে নেয়, যা মল শক্ত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। জলের অভাব শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ব্যাহত করে। এটি পেশীগুলিকে প্রভাবিত করে এবং খিঁচুনি, শক্ত হয়ে যাওয়া বা দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
