Table of Contents
শীতের আগমনের সাথে সাথে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়। ঠাণ্ডা ক্ষুধা বাড়ায় এবং মানুষ বেশি গরম, মিষ্টি এবং ভাজা খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখায়। তবে, এই ঋতুতে ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্কতা প্রয়োজন। এই সময়ে খাবারে অবহেলা রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। শীতকালে কোন খাবার তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তা মানুষ প্রায়শই বুঝতে ব্যর্থ হয়। তাই, ঠাণ্ডা ঋতুতে কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে তা ডায়াবেটিস রোগীদের জানা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সঠিক তথ্য এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে, শীতকালেও ডায়াবেটিস আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ঋতুতে খাওয়া-দাওয়ার সময় ডায়াবেটিস রোগীদের কি কি বিবেচনা করা উচিত।
শীতে ডায়াবেটিস রোগীদের কি কি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত?
দিল্লির জিটিবি হাসপাতালের প্রাক্তন ডায়েটিশিয়ান ডাঃ অনামিকা গৌর পরামর্শ দিয়েছেন যে শীতকালে ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। গুড়, রেওয়াড়ি এবং মিষ্টি খাবার দ্রুত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া, সিঙ্গারা, কচুরি, পাকোড়া এবং বেকারির মতো পরিশোধিত আটার পণ্যও ক্ষতিকারক হতে পারে।
শীতকালে লোকেরা বেশি শুকনো ফল খাওয়ার প্রবণতা দেখায়, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের কাজু, কিশমিশ এবং খেজুর খাওয়া সীমিত করা উচিত। অতিরিক্ত ভাজা এবং ফাস্ট ফুড ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে এবং চিনির মাত্রা আরও খারাপ করতে পারে। প্যাকেজজাত জুস এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : নিরামিষাশীদের ভিটামিন B12 এর অভাব বেশি হতে পারে; কারণ জানুন
ডায়াবেটিস রোগীদের কি খাবার খাওয়া উচিত?
শীতকালে ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পালং শাক, মেথি, সরিষা, লাউ এবং গাজরের মতো সবজি উপকারী। আস্ত শস্য এবং ওটস রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
প্রোটিনের জন্য, আপনি ডাল, পনির এবং দই খেতে পারেন। বাদাম এবং আখরোটও সীমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। প্রচুর পরিমাণে হালকা গরম জল পান করাও অপরিহার্য, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা সুষম রাখে।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ:
- নিয়মিত সময়ে খাবার খান।
- ঠাণ্ডায়ও শারীরিক পরিশ্রম চালিয়ে যান।
- নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন।
- ডায়েট পরিকল্পনার সময় আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
- দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধার্ত থাকবেন না।
