পূর্ব বর্ধমান। এ দিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পূর্ব বর্ধমান জেলায় তিনটি নির্বাচনী জনসভা ছিল। প্রথম সভা হয় জামালপুরের মশাগ্রামে। এরপর তিনি সভা করেন আউশগ্রামের গুসকরায়। রাতে বর্ধমানের নীলপুরে জনসভা করেন তিনি। পূর্ব বর্ধমান জেলায় নির্বাচনী জনসভা করতে এসে BJP ও তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন সিপিএম এর এই নেত্রী। সভাস্থল থেকেই এনআরসি নিয়ে ঝড় তুলতে দেখা গেল তাকে। স্পষ্ট বললেন, বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না।
জামালপুরের মশাগ্রামে সভামঞ্চ থেকে মীনাক্ষী অভিযোগ করেন, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিত কুণ্ডু টিভির সামনে খোলাখুলি বলছে উনিও ঘুষ নিয়ে তার পড়িবারের লোকদের চাকরি করে দিয়েছেন। যে ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে, আর যে সেল্ফ ডিকলিরাশেন দিয়েছে তার চাকরিটা আজ পর্যন্ত বরখাস্ত কেন হল না? তাঁর বিরুদ্ধে আজও এফআইআর কেন হল না? দিদিমনি নবান্ন থেকে নোটিফিকেশন করছেন না কেন যে কালনা থেকে যাদের চাকরি হয়েছে তাদের ভেরিফিকেশন হবে। সবার প্রথমে বিশ্বজিত কুণ্ডুর বউ এবং বৌদিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক।
BJP কেও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মীনাক্ষী। BJP এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে এই যুবনেত্রীর প্রশ্ন, “ভোটের আগেই কেন ইডি পাঠাচ্ছে, ভোটের আগে কেন সিবিআই হচ্ছে, পাঁচ বছর কেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন? নাকি ভোটের আগে সবাইকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে আসার কোনও প্রক্রিয়া করছেন? মীনাক্ষীর আগাম আশ্বাস, আমরা ক্ষমতায় এলে এক বছরে সাড়ে পাঁচ লক্ষ শূন্যপদ পূরন করব।”
কালনার বিধায়ক বলছেন উনি ঘুষ নিয়েছেন, গ্রেফতার করা হল না কেন : মীনাক্ষী
মীনাক্ষী আরও বলেন, সরকারি অফিস বন্ধ হয়ে গেলে যতই আপনি আদিবাসী বাড়িতে এসে কলাপাতাতে ভাত খান, চাকরি হবে না। এনআরসি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “সংযুক্ত মোর্চা বলছে, কে কোন বাপের ব্যাটা আছিস আয়, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি, সিএএ হতে দেবো না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাউকে বের হতে দেবো না।”
BJP বলছে, তাঁরা সরকারে এলে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী একসাথে রাজ্য পরিচালনা করবেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মীনাক্ষীর কটাক্ষ, “দিলীপ ঘোষ মানে BJP, শুভেন্দু মানে এক্স তৃনমূল। মানে BJP তৃনমূল মিলে পশ্চিমবঙ্গ শাসন করবে। আমরা বলছি ও গুড়ে বালি। ওটা হবে না।”