Table of Contents
শীতের আগমনের সাথে সাথে, আপনার খাদ্যতালিকায় এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যা উষ্ণতা প্রদান করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শক্তি প্রদান করে। কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়া প্রায়শই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, যার ফলে ঠাণ্ডা লাগা, ক্লান্তি, অলসতা এবং পেটের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। অতএব, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের খাদ্যতালিকা সামঞ্জস্য করা গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্যাগুলি এড়াতে, আপনার খাদ্যতালিকায় এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন যা শক্তি প্রদান করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
শীতকালে এই সমস্ত সমস্যা এড়াতে চাইলে, সেরা বিকল্প হল গুড় এবং ছোলা। হ্যাঁ, এটি একটি “সুপারফুড” নামে পরিচিত একটি জুটি। এই দুটি উপাদান শতাব্দী ধরে খাওয়া হয়ে আসছে। গ্রামাঞ্চল থেকে শহরাঞ্চল পর্যন্ত, গুড়-ছোলার মিশ্রণটি প্রিয় হয়ে উঠছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এটি খাওয়ার উপকারিতা।
গুড় এবং ছোলা: একটি শীতকালীন “সুপারফুড”
গুড় এবং ছোলা শীতকালীন সুপারফুডের চেয়ে কম নয়। উভয়ই পুষ্টিতে সমৃদ্ধ, যা শরীরের জন্য অসংখ্য উপকারিতা প্রদান করে। হেলথলাইন অনুসারে, ছোলা প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এতে বি ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো বেশ কিছু খনিজও রয়েছে। গুড় পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি রয়েছে।
আরও পড়ুন : শীতকালে ফাটা গোড়ালি? মাত্র দুটি উপাদান দিয়ে বাড়িতে ক্র্যাক ক্রিম তৈরি করুন
গুড় এবং ছোলা একসাথে খাওয়া কতটা উপকারী?
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ কিরণ গুপ্ত ব্যাখ্যা করেছেন যে গুড় এবং ছোলা একসাথে খাওয়া খুবই উপকারী। উভয়ই পুষ্টিতে ভরপুর। একসাথে খেলে শরীর সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে। এগুলির উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবও রয়েছে, যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে প্রতিদিন গুড় এবং ছোলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়, ক্লান্তি এবং অলসতা দূর হয়। প্রোটিনের পরিমাণের কারণে, এটি পেশী শক্তিশালী করতে এবং শরীরকে শক্তি প্রদান করতেও সাহায্য করে।
কাদের গুড় এবং ছোলা এড়ানো উচিত?
ডায়েটিশিয়ান প্রিয়া পালিওয়াল বলেন যে কিছু পরিস্থিতিতে গুড় এবং ছোলা খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ডায়াবেটিস রোগীদের এগুলি এড়িয়ে চলা উচিত কারণ গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদেরও গুড় এবং ছোলা বিচক্ষণতার সাথে খাওয়া উচিত। তদুপরি, গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গুড় এবং ছোলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
