ওয়েব ডেস্ক: বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে গ্রিল কারখানার, কিন্তু এই গ্রিল কারখানার আড়ালে চলত অবৈধ অস্ত্র তৈরির কাড়বার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকার তাম্বুল দাহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবিরাবাদে এমনি কারখানার হদিশ মিলল।
প্রতিবেশীরা তা টেরও পাননি। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। বেশ কিছু দিন নজর রাখা হয় ওই কারখানার ওপর। এরপর শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয় ওই কারখানায়। ঘটনায় কারখানার মালিক রাজকুমার হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জীবনতলা থানার যৌথ অভিযানে কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র বানানোর সামগ্রীও। এখান থেকে কারা অস্ত্র কিনতে আসত, কোন চক্র এর পিছনে কার কাজ করছে, সেই সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চলতি মাসের শুরুতেই কুলটির (Kulti) দিশেরগড়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পান তদন্তকারীরা। অভিযান চালিয়ে ওই গোপন কারখানা থেকে সাতটি তৈরি ৭.৬২ পিস্তল, ২০টি অসম্পূর্ণ পিস্তল, ১৪টি তৈরি ম্যাগাজিন আর পাঁচটি অসম্পূর্ণ ম্যাগাজিন, ১৩ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে ফাঁদে পা দিয়ে ‘লুঠ’ ১০ লাখ টাকা
রাজ্যে একের পর এক অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এছাড়াও বহু ব্যক্তিকে সীমান্ত এলাকা থেকে মাঝেমধ্যেই অস্ত্র সমেত গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যে যে একটি বড় ধরনের অস্ত্র পাচারচক্র সক্রিয়, তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনও। কোথা থেকে অস্ত্র আসে, কোথায় অস্ত্র পাচার হচ্ছে, সেই চক্র ধরতে তৎপর পুলিশ।