ওয়েব ডেস্ক: পুরভোটে আর লড়তে চান না বলে কিছু দিন আগেই জানিয়েছিলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। ভোটের পরে দলের কাজ করলেও আগের চেয়ে দৌড়ঝাঁপ কমিয়ে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য প্রয়াত হয়েছেন। বয়স-নীতির কারণে জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি নিতে হয়েছে। এ সবের প্রেক্ষিতেই এ বার আর পুরভোটে নিজে না লড়ে পরামর্শদাতার ভূমিকায় থাকতে চান বলে জানিয়ে দেন অশোক বাবু। কিন্তু শিলিগুড়িতে এখনও তাঁর বিকল্প তেমন কোনও মুখ বামেদের কাছে নাই। তাই তাকেই আবার তার পুরনো ৬ নং ওয়ার্ড থেকে দাড় করানর কথা চলছে।
এরই মধ্যে রবিবার সকালে অশোক বাবু কে ফোন করে শিলিগুড়িতে আবার বামফ্রন্টের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলেন বুদ্ধ বাবু। অশোক এ দিন বলেছেন, ‘‘বুদ্ধবাবু টেলিফোন করেছিলেন। শিলিগুড়িতে আমাদের আবার জিততে হবে, সেই কথা বলেছেন। ওঁর শরীরের খোঁজ নিয়েছি। বাকিটা দলীয় আলোচনা।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের বাকি পুর-নিগমগুলিতে ভোট হতে পারে আগামী ২২ জানুয়ারি।
এবার পুরভোটেও নতুন মুখের খোঁজে বাম নেতৃত্ব
দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল এ বার গৌতম দেবকে সামনে রেখে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিজেপি সামনে এগিয়ে দিয়েছে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। যিনি বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত সিপিএমে অশোক বাবুরই অন্যতম অনুগামী ছিলেন। সেখানে বামেদের মুখ কে হবে, তা নিয়ে দলের মধ্যে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। গত দু’দিনে সিপিএমের জেলা কমিটি, জেলা সম্পাদকমণ্ডলী এবং জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকেই অনেকে অশোক বাবু কে ফের দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন। রাজ্য কমিটির তরফেও অশোক বাবুর কাছে নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রাক্তন মেয়র এখনও রাজি না হলেও দলের হয়ে ভোটে কাজ করছেন। এর মধ্যেই বুদ্ধদেব এ দিন তাঁকে ফোন করেন।
“পাশে আছি” দেউচা পাচামি আন্দোলনকারীদের বার্তা দিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র
তবে অশোক বাবুর ভোটে দাঁড়ানো বা নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে আবার দলের অন্দরে দ্বিমতও রয়েছে। ফ্রন্ট নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, বিধানসভা ভোটে হারের পরে ফের পুরসভায় খারাপ ফল হলে তা অশোক বাবুর মতো নেতার পক্ষে গৌরবজনক হবে কি না। তবে কলকাতার পুরভোটে বিজেপি তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া এবং বামেরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পরে শিলিগুড়ির পুরভোটে নতুন উদ্যমে লড়াইয়ে আশাবাদী বামেদের একটি বড় অংশ।